২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৫:০১
অভিনব পন্থায় চুরির ঘটনা বাড়ছে পঞ্চগড়ে

এক পরিবারের দশজনকে অচেতন করে চুরি

পঞ্চগড় প্রতিনিধি:

এক পরিবারের দশজনকে অচেতন করে চুরি

পঞ্চগড়ে সাম্প্রতিক সময়ে অভিনব পন্থায় চুরির ঘটনা বাড়ছে। রাতের অন্ধকারে ওষুধ ও রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করে ঘটছে এসব চুরির ঘটনা। আলোচিত এসব ঘটনায় একটি দুর্বৃত্ত চক্র জড়িত বলে ধারনা করা হচ্ছে। 

এ নিয়ে জেলাবাসীর মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। গত শুক্রবার জেলার আহমদ নগরে একই পরিবারের ১০ জনকে অচেতন করে এরকম অভিনব চুরির ঘটনা ঘটেছে। জেলায় গত দুই বছরে অন্তত ১০টি এরকম চুরির ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আহমদ নগর তেলিপাড়া এলাকায় মোছলেম উদ্দিনের বাড়িতে শুক্রবার রাতে তার বাবা আলিমদ্দিনের কুলখানি ও দোয়ার অনুষ্ঠান ছিল। এজন্য বাড়িতে মরহুম আলিমদ্দিনের মেয়ে জামাইয়ের পরিবারের সদস্যরা ছিল। দোয়া অনুষ্ঠান শেষে রাতে খাবার খেয়ে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার সকাল ৮ টায় মোছলেম উদ্দিন ঘুম থেকে উঠে দেখেন বাড়ির সবাই অঘোরে ঘুমাচ্ছেন। এক পর্যায়ে তিনি দেখতে পান বাড়ির সব ঘরের দরজা ভাঙা । পরে তিনি লক্ষ্য করেন নগদ এক লাখ টাকাসহ অতিথিদের মিলিয়ে প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে। শনিবার সকালে ঘুমে অচেতন ওই ১০ নারী, পুরুষ ও শিশুকে পঞ্চগড় আধনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন প্রতিবেশিরা। 

ঘটনার পর জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) আলমগীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশের দাবি, রাতের খাবারের সাথে তাদের ঘুমের ওষুধ জাতীয় কিছু খাওয়ানো হতে পারে। মোছলেম উদ্দিনের ছোটভাই কুয়েত প্রবাসী সালাউদ্দিন বলেন, বাবার মৃত্যুর খবরে বাড়িতে আসি। দোয়া অনুষ্ঠান শেষে শুক্রবার রাতের খেয়ে আমরা ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকালে উঠে দেখি বাড়ির সকলেই অঘোরে ঘুমোচ্ছিলেন। ঘরের দরজা জানালা ভাঙার পরও আমরা টের পাইনি। কিভাবে কি হলো বুঝতে পারছি না। আমাদের নগদ এক লাখ টাকাসহ প্রায় ৫ ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়েছে। 

পরে প্রতিবেশিরা তিনি এবং তার মা রেজিয়া বেগম (৫৫), বোন মুন্নি (৩৫), স্বপ্না বেগম (৩২), রতœা বেগম (৩১), ভাগিনা মৃতুল (২১), সায়েম (১৩), খালা রাশিদা (৬০), ভাগনি সামিরা (৫) অনন্যা (৩) এবং ভাতিজা মাহিন (৫) কে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

উল্লেখ্য, এর আগে তেঁতুলিয়া উপজেলায় পর পর চারটি, আটোয়ারী উপজেলায় তিনটি এবং সদর উপজেলায় দুই পরিবারের সবাইকে অচেতন করে এই অভিনব চুরি হয়। এসব ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার রহস্যও জানা যায়নি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন দুর্বৃত্তরা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এসব চুরির ঘটনা ঘটায় বলে আমরা ধারনা করছি। এ ব্যাপারে পুলিশের অনুসন্ধান চলছে। শিগগিরই জড়িত চক্রটিকে খুঁজে পাবো বলে আশা করছি। 


বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর