নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকার মোংলা বন্দরকে মৃত বন্দরে পরিণত করেছিল। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেই মোংলা বন্দরের প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছেন। মোংলা এখন কর্মচঞ্চল ও লাভজনক বন্দরে বন্দরে পরিণত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আগামী চার বছরের মধ্যেই সম্ভাবনার আধুনিক আর্ন্তজাতিক সমুদ্রবন্দরে পরিণত হবে।
বুধবার দুপুরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ১৫তম বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, মোংলা বন্দর এখন আমাদের দেশীয় বন্দরই নয়, এটি এখন আর্ন্তজাতিক সমুদ্র বন্দর। এই বন্দরের সুযোগ-সুবিধা এখন প্রতিবেশি রাষ্ট্রগুলোও গ্রহণ করছে। এর আগে সকালে তিনি মোংলা বন্দর জেটিসহ বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল এম মোজাম্মেল হক বন্দর উপদেষ্টা কমিটির সভায় মোংলা বন্দরের উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন, বন্দর ব্যবহারকারীদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি, পশুর চ্যানেলের নাব্যতা সংরক্ষণসহ নতুন ইকুইপমেন্ট সংযোজনের বিষয়ে সভায় উপস্থাপন করেন। এছাড়া সভায় মোংলা-খুলনা মহাসড়ক, খানজাহান আলী বিমান বন্দর নির্মাণ, খুলনা-মোংলা রেল লাইন স্থাপন ও পদ্মা সেতু নির্মাণের ফলে এ বন্দরের কার্যক্রম বৃদ্ধির কথা উল্লেখ করা হয়।
উপদেষ্টা কমিটির এ সভায় খুলনা সিটি কর্পোরেশেনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বাগেরহাট- ৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. লোকজমান হোসেন মিয়া, বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ, বাগেরহাট পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, মোংলা পৌর মেয়র জুলফিকার আলী, মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাহাত মান্নান, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট এ্যাসোশিয়েসনের চেয়ারম্যান ক্যাপ্টেন রফিকুল ইসলামসহ বন্দর সংশ্লিষ্ট সকল ব্যবসায়ী নেতা ও উর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্মচারী সংঘের (সিবিএ) নব নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার