রাজধানী ঢাকার ক্লাবগুলিতে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযানের পর থেকে পাবনায় এর প্রভাব পড়েছে। জেলার ক্ষমতাসীন দল ও তাদের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন, আর যাদের মনে এই ধরনের আতংক রয়েছে তারা শহরে প্রকাশ্যে চলাফেরা বন্ধ করে দিয়েছেন।
সম্প্রতি আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া এক বক্তব্যের পর এই আতঙ্ক আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেছেন, এখন যে অভিযান চলছে সেটা মাদক, দূর্নীতি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, চাঁদাবাজী ও টেন্ডারবাজীর বিরুদ্ধে। এই অভিযান সারাদেশে চলবে বলেও জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন দপ্তরে কমবেশী টেন্ডারবাজী হয়। এছাড়াও জেলা সদরসহ সকল উপজেলা পর্যায়ে যে সকোল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা মাদক ব্যবসা, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, অবৈধ পলিথিন উৎপাদন, পদ্মা নদী থেকে বালি উত্তেলনের পর বিক্রির সাথে জড়িত রয়েছেন। তাদের মধ্যে এই আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকেই গত এক সপ্তাহজুড়ে লাপাত্তা হয়েছেন, প্রকাশ্যে তারা চলাফেরা করছেন না।
এসব অবৈধ কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত নয় এমন সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, ঈশ্বরদী, পাবনা সদর ও সুজানগর উপজেলায় পদ্মা নদী থেকে বালি উত্তেলনের পর বিক্রি ও মাদক ব্যবসা, অবৈধ পলিথিন উৎপাদন, পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজী এবং টেন্ডারবাজী করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। তাদের অনেকেই ঢাকা, কলকাতাসহ বিভিন্ন স্থানে গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা রয়েছেন।
সম্প্রতি সাবেক এক যুবলীগ নেতার বাড়িতে পরপর দুইদিন পুলিশী অভিযানের পরই এই আতঙ্ক আরও বেশী ছড়িয়ে পড়েছে তাদের মধ্যে।
ইতিমধ্যেই দেশের কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন পাবনায় কোন কোন নেতা পাবনায় অবৈধ মাদক ব্যবসা, পলিথিন উৎপাদন, পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজী, বিভিন্ন দপ্তরে টেন্ডারবাজীর মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত থেকে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তাদের তালিকা প্রস্তুত করার কাজ চলছে। অপরদিকে ,পুলিশের এক শীর্ষ কর্মকর্তাও নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ সকল কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নেতাদের নজরে রাখা হয়েছে এবং তাদের সম্পদের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ