২০ অক্টোবর, ২০১৯ ২২:০২

টেকনাফে আমনের ক্ষেতে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক

আব্দুস সালাম, টেকনাফ (কক্সবাজার) :

টেকনাফে আমনের ক্ষেতে পোকার আক্রমণ, দিশেহারা কৃষক

কক্সবাজারের টেকনাফে চলতি মৌসুমে ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১০ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির রোপা আমন ধানের চাষাবাদে ফসল ভাল হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আমন ধান কাটা শুরুর মধ্য দিয়ে কৃষকদের আমন উৎসব শুরু হয়েছে।

কক্সবাজারের টেকনাফে চলতি মৌসুমে ৬টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ১০ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির রোপা আমন ধানের চাষাবাদ হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় আমন ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। কেউবা ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণের ভয়ে ধান পাকার আগেই কেটে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে উৎপাদিত ধানের ফলন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে কৃষকেরা। কৃষকদের অভিযোগ, কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের কোনো পরামর্শ পাচ্ছে না তারা। বেশ কয়েকজন কৃষক কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে কীটনাশক দিয়েও কোনো সুফল পাচ্ছেন না। রবিবার (২০ অক্টোবর) সরেজমিন গিয়ে কৃষকদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

টেকনাফ উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নে ৬ হাজার ৩৭০ হেক্টর, হ্নীলা ইউনিয়নে ১ হাজার ১৩০ হেক্টর, টেকনাফ সদর ইউনিয়নে ১হাজার ৮০ হেক্টর, সাবরাং ইউনিয়নে ১ হাজার ৪০ হেক্টর, বাহারছড়া ইউনিয়নে ১ হাজার ৬০ হেক্টর, সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে ৬৫ হেক্টর, পৌরসভায় ১৫ হেক্টরসহ মোট ১০ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে উফশীজাত বিআর-২৩, ব্রি ধান-৩২, ব্রি ধান-৩৩, ব্রি ধান-৩৪, ব্রি ধান-৩৯, ব্রি ধান-৪১, ব্রি ধান-৪৪, ব্রি ধান-৪৯, ব্রি ধান-৫২, ব্রি ধান-৫৪, ব্রি ধান-৫৬, ব্রি ধান-৬২, ব্রি ধান-৭১, ব্রি ধান-৭২, ব্রি ধান-৭৩,  ব্রি ধান-৭৫, ব্রি ধান-৭৮, ব্রি ধান-৭৬ , ব্রি ধান-৮৭, বিনা-৭, বিনা-১৬,বিনা-১৭, বিনা-২০, ভারত পাইজাম, ২১টি প্রজাতির মধ্যে মোট ৯৬৩০ হেক্টর, হাইব্রিড প্রজাতির মধ্যে এরাইজ গোল্ড, স্থানীয় প্রজাতির মধ্যে লেমব্র ২৫ হেক্টর, বিন্নি ৩০০ হেক্টর, লালপাইজাম ৭৭৫ হেক্টর, নুনাস প্রজাতির চলতি মৌসুমে ধানের চাষাবাদ করা হয়।

এ বিষয়ে বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়া এলাকার কৃষক আব্দুস শুক্কুর বলেন, আমি লাল পাইজাম, ব্রি-২৯, ব্রি-৩৩ প্রজাতির ধান জুম্মা পাড়ায় সাড়ে ৫ একর জমিতে চাষাবাদ করেছি। লাল পায়জাম ধানে পোকা আক্রমণ করায় ফলন তেমন ভাল হয়নি। বাজারে ন্যায্যমূল্য পাব না, লোকসান গুণতে হবে। আমার প্রতিবেশীরা ৫/১০দিন পর ধান কাটবে। 

একই ইউনিয়নের বাঘগোনা এলাকার কৃষক আব্দুল গণি বলেন ,আমি ব্রি-২৯, ব্রি-৩৪, ব্রি-৪৯ প্রজাতির ধান ১০ কানি জমিতে চাষ করেছি। এবারে ভাল ফলন দেখা দিলেও পোকার আক্রমণে তা ভেস্তে গেছে। 

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারীকে সার্বিক তদারকি করার জন্য দায়িত্ব দেয়া হবে। যে এলাকায় আমন ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণ হয়েছে, সে এলাকা চিহ্নিত করে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা প্রদান করা হবে। এছাড়া ধান ক্ষেতে পোকা-মাকড়ের উপস্থিতি যাচাইয়ের জন্য আলোক ফাদ স্থাপন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল।

বিডি-প্রতিদিন/শফিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর