সিরাজগঞ্জের পিপুলবাড়ীয়াতে বকুল হায়দার নামে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্যকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। হত্যার প্রতিবাদ ও হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে রবিবার সকাল থেকে সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। অন্যদিকে, এখনো হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে, রহস্য উদঘাটনে ইতোমধ্যে পুলিশের টিম মাঠে নেমেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হত্যাকাণ্ডের সময় উপস্থিত বকুলের সহযোগী রফিকুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা ইউসুফকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত সোয়া ৮টার দিকে সদর উপজেলার বাগবাটি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বকুল হায়দার বকুল পিপুলবাড়ীয়া বাজারে সালিশ বৈঠক শেষে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলৈন। বাড়ির অদূরে পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা খুব কাছ থেকে বুকলকে গুলি করে। গুলিটি মাথার ডানপাশে লাগে। মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনবারের নির্বাচিত বকুল মেম্বরের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পরলে বিক্ষুদ্ধ হয়ে পড়ে স্থানীয়রা। এমন মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছেন না স্বজনসহ এলাকাবাসী।
এদিকে, পুলিশ এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। এদিকে, হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়কের পিপুলবাড়ীয় বাজারে সকাল থেকে এলাকাবাসী রাস্তায় গাছের গুড়িয়ে ফেলে অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এসময় দ্রুত হত্যাকারীদের গ্রেফতার জানান তারা।
নিহতের প্রথম স্ত্রী জানান, তার স্বামীর সাথে কারো সাথে বড় ধরনের দ্বন্দ্ব বা বিরোধ ছিল না। তবে নির্বাচন ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে ঝামেলা চলছিল।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, বকুল মেম্বরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার জন্য খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে পুলিশের টিম কাজ করছে। ইতোমধ্যে হত্যাকাণ্ডের সময় বকুলের সঙ্গে থাকা সহযোগী রফিকুল ইসলাম ও স্থানীয় যুবলীগ নেতা ইউসুফকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। দ্রুত রহস্য উদঘাটন পূর্বক আসামিদের গ্রেফতার করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব