নেত্রকোনা সদর উপজেলার বড়গাড়া এলাকায় ১২ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়ে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাতে শিশুটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন স্বজনরা।
এদিকে, খবর পেয়ে নেত্রকোনা মডেল থানার পুলিশ রবিবার রাতের ট্রেনে পালিয়ে যাওয়ার পথে রেল স্টেশন থেকে এলাকা থেকে আটক করে একই এলাকার অভিযুক্ত রুহুল আমিনকে (২২)।
এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা দয়ের করেছে বলে জানান মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত রবিবার এশার নামাজের পর পার্শ্ববর্তী ফুফুর বাড়িতে মোবাইলের চার্জার ফেরত দিয়ে বাড়ি ফিরছিল শিশুটি। এসময় পিছন থেকে মুখ চেপে ধরে বড়গাড়া এলাকার রব্বানীর ছেলে রুহুল আমিন ও তার এক সহযোগী স্বাধীন (১৮) শিশুটিকে মগড়া নদীর পাড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তার চিৎকার ও কান্নাকাটি শুনে স্বজনরা গিয়ে নদীর পাড় থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে। রাতেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দ্রুত চিকিৎসা দেন।
এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, প্রধান অভিযুক্ত রুহুল আমীনকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। দ্বিতীয় অভিযুক্ত তার সহযোগী একই এলাকার খোকন মিয়ার ছেলে স্বাধীনকে খুঁজছে পুলিশ।
এদিকে, নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও ) একরামুল হাসান জানান, শিশুটিকে নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই প্রাথমিক আলামত পাওয়ায় তাকে গাইনি বিভাগের অবজারবেশনে রাখা হয়। তখন বেশ রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে তার সঙ্গে সহিংসতা হয়েছে বলেও জানান আরএমও।
বিডি প্রতিদিন/কালাম