দেশের বাজারে পিয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধানে বিভিন্ন জেলার আমদানিকারকসহ ৮ জনকে চিঠি দিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাস্টমস শুল্ক ও গোয়েন্দা অধিদফতর।
সোমবার প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হিলি স্থলবন্দরের দুই আমদানিকারককে ঢাকায় কাস্টমস শুল্ক ও গোয়েন্দা কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। বাকিরা মঙ্গলবার স্ব-শরীরে সংস্থাটির কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে তাদেরকে। চাওয়া হয়েছে পণ্যের ইনভয়েস, বিল অফ এন্টি ও এলসিসহ যাবতীয় কাগজ-পত্র।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গোয়েন্দা অধিদফতর থেকে গত বৃহস্পতিবার তাদের কাছে এ বিষয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এই ৮টি প্রতিষ্ঠানকে তলব করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও খান ট্রের্ডাসের সত্ত্বাধিকারী হারুন উর রশিদ হারুন।
আমদানিকারক ৮টি প্রতিষ্ঠান হলো- রায়হান ট্রের্ডাসের মালিক শহিদুল ইসলাম, সুমাইয়া ট্রের্ডাসের মালিক সাইফুল ইসলাম, সালেহা ট্রের্ডাসের মালিক সেলিম রেজা, এম আর ট্রের্ডাসের মালিক মনোয়ার হোসেন, ধ্রুব ফারিয়া ট্রের্ডাসের মালিক নাজমুল হক চৌধুরী, খান ট্রের্ডাসের মালিক হারুন উর রশিদ হারুন, জগদেশ ট্রের্ডাসের মালিক শ্যামল রায় ও বি কে ট্রের্ডাসের মালিক।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও খান ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী হারুন উর রশীদ হারুন সাংবাদিকদের জানান, সারাদেশে পিয়াজের দামের যে অস্থিরতা বিরাজ করছে সেটা নিয়ে প্রশাসন ও সরকার বিপাকে পড়েছে। এ কারণে তারা হয়তো মনে করছেন পিয়াজ আমদানিকারকদের অথবা বড় বড় ব্যবসায়ীদের কারসাজি হতে পারে। তাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশে শুল্ক গোয়েন্দা সংস্থা থেকে দেশের বিভিন্ন বন্দরের আমদানিকারকদের চিঠি দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে হিলির আমদানিকারকদের চিঠি দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কয়েকজন আমদানিকারকের এখনও প্রায় দু থেকে আড়াই হাজার টনের মতো পিয়াজের এলসি দেওয়া রয়েছে। ভারত রফতানি বন্ধ রাখায় এলসির বিপরীতে কোনও পিয়াজ আসছে না। তবে ভারত রফতানি বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার করে নিলেই দেশের পিয়াজের বাজারে যে অস্থিরতা বিরাজ করছে সেটা কেটে যাবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম