ভারত পিয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর থেকে মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি অব্যাহত রেখেছে ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার ৮ জন ব্যবসায়ীর কাছে ১১টি ট্রলারে করে ৫৪৮ মেট্রিক টন পিয়াজ কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরের খালাস করা হয়েছে। তবে খালাসের অপেক্ষায় নাফনদীতে ভাসমান আরও ৬টি ট্রলার ভর্তি পিয়াজ।
চলতি বছরের নভেম্বর মাসে ২১ দফায় মিয়ানমার থেকে নৌপথে ১৮ হাজার ৪৯৭ মেট্রিক টন পিয়াজ আমদানি করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা আফসার উদ্দিন।
তিনি জানান, ভারত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে পিয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেন। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর মিয়ানমার থেকে প্রথম চালানে ৬৫০টন পেঁয়াজ আসে। এরপর থেকে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ৩৯ হাজার ৯৯৫ টন পিয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নাফনদীতে মিয়ানমার থেকে পিয়াজসহ অন্যান্য পণ্য নিয়ে আসা ২৫টি ট্রলার নোঙ্গর করে রয়েছে। এরমধ্যে তিনটি ট্রলার থেকে পিয়াজ খালাস করে শ্রমিকরা ট্রাকে বোঝাই করছেন।
কয়েকজন শ্রমিক বলেন, আগের তুলনায় মিয়ানমার থেকে পিয়াজ আসা অনেক কমে গেছে। অধিকাংশ আমদানিকারকরা বন্দরে আসছে না।তাদের মধ্যে এক ধরনের ভয়-ভীতি কাজ করছে। এর ফলে পিয়াজ আমদানি কমেছে।
এ ব্যাপারে স্থলবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ইউনাইটেড ল্যান্ড পোর্ট টেকনাফ লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন জানান, স্থলবন্দরের পিয়াজের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্য থাকলেও আগে পিয়াজের ট্রলার খালাস করা হচ্ছে। গতকাল রাত সাতটা পর্যন্ত ৪৪টি পিয়াজ ভর্তি ট্রাক দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের উদ্দেশ্যে স্থলবন্দর ছেড়ে গেছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল