মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রেলওয়ের জমি থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকে শহরের ভানুগাছ সড়কে এই অবৈধ স্থাপনায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করছে রেলের এস্টেট বিভাগ। পর্যায়ক্রমে অবৈধ দখলে থাকা শ্রীমঙ্গলে রেলওয়ের সব ভূমি উদ্ধার করা হবে বলে জানান এস্টেট কর্মকর্তা।
এর আগে, ২০১৬ সালে রেলওয়ে এস্টেট বিভাগ থেকে এই জমি উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। কিন্তু সে সময় দখলদারদের বাধার কারণে পিছু হটেছিল রেলকর্তৃপক্ষ। তবে এবার কোন বাধা ছাড়াই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত প্রায় শতাধিক ঘর ভাঙা হয়েছে। বাকিগুলো উচ্ছদ করা হচ্ছে। এ উচ্ছেদ অভিযানে আছেন এস্টেট কর্মকর্তা (ঢাকা) নজরুল ইসলাম, শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি মো. মাহমুদুর রহমান মামুন, ওসি (তদন্ত) সোহেল রানা, কানোঁঙ্গ (ঢাকা) মো. আব্দুল কাদের প্রমুখ।
জানা যায়, শহরের পৌর এলাকার ভানুগাছ সড়কে রেলওয়ের এই ২.৮৭ একর জমি দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে স্থানীয় কিছু প্রভাবশারীরা জবরদখল করে রেখেছে। প্রায় ৩০ কোটি টাকা মূল্যের দখলকৃত ওই জমির উপর গড়ে তোলা হয়েছিল বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
রেলের এস্টেট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৩ সাল থেকে বিভিন্ন ব্যক্তি বিশেষ রেলওয়ের এই জমি দখলে নিয়ে নিজেদের স্বত্ত্ব দাবি করে মৌলভীবাজারের সাব জজ আদালতে মামলা দায়ের করেন। যদিত্ত কোন আদালতেই দখলদার পক্ষ মামলায় জয়ী হতে পারেননি। নিম্ন আদালত থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশন পর্যন্ত প্রতিটি মামলার রায়ই বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে হয়েছে।
সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৯ জুন প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত চার সদস্যের সুপ্রিম কোর্টের অ্যাপিলেট বেঞ্চ দখলদারদের আবেদন খারিজ করে বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষে রায় দেন। বর্তমানে ওই ভূমিতে প্রায় তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা রয়েছে। এই দীর্ঘ সময়ে কোন কোন দখলদার দোকানের পজিশন বিক্রি করে নিজেরা আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন বলেও রেলের এস্টেট বিভাগ জানায়।
এস্টেট কর্মকর্তা (ঢাকা) নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা আজ শুরু করেছি। পর্যায়ক্রমে সব অবৈধ্য দখল উচ্ছেদ করা করবো।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক