জরুরি হেল্পলাইন নাম্বর ৯৯৯ এ ফোন করে অসুস্থ্য প্রসূতি নবিয়া খাতুন (২৮) ও নবজাতকের দেখভালের জন্য কর্মসংস্থানের আশ্বাস পেয়েছে পরিবারটি।
বুধবার বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে গিয়ে নবিয়া খাতুন ও নবজাতক মো. ইউসুফকে দেখতে গিয়ে জেলার আনসার ভিডিপি কমানডেন্ট মো. মেহেদি হাসান কর্মসংস্থানের বিষয়টি তুলে ধরেন এবং নবজাতক ইউসুফের জন্য নতুন জামা কাপড়, শিশু ও প্রসূতির খাবার, তার মা বাবার জন্য কাপড় এবং নগদ ৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। হাতে টাকা পেয়ে চোখ দিয়ে আনন্দের অশ্রু ঝরে যায় প্রসূতি নবিয়া খাতুনের।
বগুড়া জেলার আনসার ভিডিপি কমানডেন্ট মো. মেহেদি হাসান জানান, পত্রিকার মাধ্যমে সংবাদ পাওয়ার পর হাসপাতালে গিয়ে প্রসূতি ও নবজাতক ইউসুফের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেয়া হয়। আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার পর জানতে পারেন যে, প্রসূতি নবিয়ার স্বামী ছকমল একজন রাজমিস্ত্রি শ্রমিক। কাজ করলে সংসার চলে না করলে চলে না। তাদের বড় সন্তান মো. ইসলাম লালমনিরহাটের একটি স্কুলে ১০ম শ্রেণিতে পড়ে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে মো. ইসলামের জন্য অথবা তার বাবা ছকমলের জন্য একটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। যেন পরিবারটি সুরক্ষিত থাকে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের সহ পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, প্রসূতি ও নবজাতকের নিবির পরিচর্যা চলছে। বৃহস্পতিবার তাদের ছাড়পত্র দেয়া হতে পারে। হাসপাতাল থেকে তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছাড়পত্র দেয়া হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই পরিবার ও নবজাতককে উপহার সামগ্রীও দিবে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামের মো. ছকমল ও তার সন্তান সম্ভাব্য স্ত্রী নবিয়া খাতুন ঢাকা থেকে ট্রেন যোগে বাড়ি ফেরার পথে বগুড়ায় সন্তান প্রসব করেন। পরে অসুস্থ্য হলে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে সেবা চান। এতে দ্রুত ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা বগুড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রসূতি ও নবজাতককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। এরপর থেকে চিকিৎসা নিয়ে এখন সুস্থ্য রয়েছে প্রসূতি ও নবজাতক ইউসুফ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন