কবি নজরুল ইনস্টিটিউট, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘নজরুলের অপ্রচলিত গানের সুর সংগ্রহ, স্বরলিপি প্রণয়ন, সংরক্ষণ, প্রচার এবং নবীন প্রজন্মকে উদবুদ্ধকরণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নেত্রকোনায় শুরু হয়েছে তিনদিন ব্যাপী জাতীয় নজরুল সম্মেলন।
জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের আয়োজনে এ উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার উদ্বোধনী র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য একটি র্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মোক্তারপাড়া শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়।
শিল্পকলা প্রাঙ্গণে বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু। জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলামের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী দিনে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাকে একটি বাড়ি দিয়েছিলেন। এখানে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধুই। এখানেই তিনি দেহত্যাগ করেছেন এবং তার সমাধি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মসজিদ প্রাঙ্গণে করা হয়। আমরা যখন স্বাধীনতা সংগ্রামে যুদ্ধে অবতীর্ণ হই, তখন কাজী নজরুলের কবিতা গান আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছিলো। আমাদেরকে সাহস যুগিয়েছিলো। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি অনর্গল রণসংগীত, বিদ্রোহী কবিতা গান লিখে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন। তিনি আমাদের জাতীয় কবি হয়ে উঠেছিলেন তার নিজ মহিমায়।
এসময় মূখ্য আলোচক ছিলেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকার। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান মিয়া, অধ্যাপক মতীন্দ্র সরকার, সরকারী কলেজের বাংলার শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ও নজরুল ইনস্টিটিউটের সচিব ও প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিম। পরে আলোচনা সভা শেষে তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
বিডি-প্রতিদিন/ সিফাত আব্দুল্লাহ