১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৭:৩০

শ্বশুর বাড়িতে একই ওড়না দিয়ে কথিত প্রেমিক ও গৃহবধূর আত্মহত্যা

মাগুরা প্রতিনিধি

শ্বশুর বাড়িতে একই ওড়না দিয়ে কথিত প্রেমিক ও গৃহবধূর আত্মহত্যা

মাগুরা সদর উপজেলার বাটাজোড় গ্রামে একই ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে পিংকি (১৯) নামে এক গৃহবধূ ও সাগর (২১) নামে তার কথিত প্রেমিকের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। 

বুধবার রাতে সদর উপজেলার শত্রুজিৎপুর ফাঁড়ি পুলিশ পিংকির শ্বশুর বাড়ির একটি কক্ষ থেকে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করেছে। 

পিংকি বাটাজোড় গ্রামের নরসুন্দর রাম প্রসাদের স্ত্রী। সাগর ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার কুঠি দুর্গাপুর গ্রামের শ্যামল বিশ্বাসের ছেলে। 

প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এ আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। 

পিংকির বড় ভাই মলয় বিশ্বাস জানান, মোবাইল ফোনে খবর পেয়ে তারা বুধবার রাতে পিংকির শ্বশুর বাড়িতে এসে দুজনকেই মৃত অবস্থায় দেখতে পান। সাগর ও পিংকির মধ্যে কোনো প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তাদের জানা নেই। এ কারণে ঘটনাটি তাদের কাছে রহস্যজনক। 

সাগরের মামা নিরব বিশ্বাস অভিযোগ করেন, পিংকিদের পরিবারের সাথে তাদের আত্মিয়তার সম্পর্ক রয়েছে। সেই সূত্রে সাগর পিংকিদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। ঘটনার দিন বাটাজোড় এলাকার একটি মেলায় আসার কথা বলে সাগর বাড়ি থেকে বের হয়। পরে তারা তার মৃত্যুর খবর পান। ঘটনার তদন্ত ও বিচার চেয়ে তারা সদর থানায় এজাহার দিয়েছেন। মৃত্যুর ঘটনাটি তাদের কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। 

পিংকির স্বামী রাম প্রসাদ জানান, নড়াইলের নলদি গ্রামের বাবার বাড়ি থেকে পিংকি বুধবার তাদের বাড়িতে আসেন। দুপুরে রাম প্রসাদ তাকে বাড়িতে রেখে বাটাজোড় বাজারে নিজ সেলুনে চলে আসেন। পরে সন্ধ্যায় খবর পেয়ে সাগর ও পিংকিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। সাগর ও পিংকি মোবাইল ফোনে মাঝে মাঝে কথা বলতো। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিংকি রাম প্রসাদকে কিছু বলতো না। কি কারণে তারা আত্মহত্যা করেছে বিষয়টি তিনি বুঝতে পারছেন না।

মাগুরার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ রাম প্রসাদের বাড়ির একটি কক্ষ থেকে পিংকি ও সাগরের মৃতদেহ উদ্ধার করে। সেখানে একটি কক্ষে বাঁশের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে তারা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। প্রেম ঘটিত কারণে আত্মহত্যা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
    

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর