মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা আর পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্তির আনন্দ উদযাপনে উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে ঐতিহাসিক পাবনা মুক্ত দিবস।
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার রাত ১২টা এক মিনিটে শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে
মোমবাতি প্রজ্বলন করেন সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স।
এ সময় শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে ফানুস উড়িয়ে এবং আতশবাজি ফোটানোর মধ্য দিয়ে মুক্তির আনন্দ উদযাপন করেন তারা।
পরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি বলেন, ১৯৭১ সালে ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের অধিকাংশ এলাকা শত্রুমুক্ত হলেও পাবনা ছিল হানাদার পাক বাহিনীর দখলে। পাবনার অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে তীব্র লড়াইয়ে পরাস্ত হয়ে ১৮ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় তারা। এই গৌরবময় আনন্দের দিনটির কথা নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে। পাবনার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, পাক বাহিনী এবং তার দোসরদের হত্যাযজ্ঞ, নির্মমতার কথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামীতে আরও বর্ধিত কলেবরে পাবনা মুক্ত দিবস পালন করা হবে।
এমপি প্রিন্স বলেন, বিএনপি-জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছে, মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদদের নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করে নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা যেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করার আর কোনো সুযোগ না পায় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
এদিকে, বুধবার সকালে পাবনা মুক্ত দিবস উপলক্ষে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১ বিজয় মিছিল নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ দুর্জয় পাবনায় পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। এছাড়াও পাবনা প্রেসক্লাব ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট আয়োজন করে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন