বগুড়ার সোনাতলায় নিম্নমানের কাজের অভিযোগে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফিউল ইসলামকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার রেলক্রসিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাত পৌনে ১০টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও স্থানীয় ড. এনামুল হক কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মালেক আকন্দসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে সোনাতলা থানায় মামলা হয়েছে।
সোনাতলা থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাসউদ চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফিউল ইসলাম জানান, মোকাতলা-সোনাতলা সড়কের রেল ক্রসিংয়ের আগে পিচ ঢালাইয়ের কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটার দিকে সোনাতলা উপজেলা আওয়ামী লীগে যুগ্ম সম্পাদক এবং ড. এনামুল হক কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মালেক ও তার লোকজন ঘটনাস্থলে এসে কাজের ভুল ধরেন। এসময় পিচ ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পর অধ্যক্ষসহ কয়েকজন সেখানে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের পর তাকে শারীরিক নির্যাতন করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর রাতে সোনাতলা থানায় অধ্যক্ষ মালেকসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাত ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে তিনি মামলা করেন।
আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ আবদুল মালেক বলেন, ‘সওজের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাফিউল ইসলাম কখনও সাইডে আসেন না। উপজেলার রেলক্রসিং এলাকায় নিম্নমানের কাজ করছেন। এর প্রতিবাদ করলে তিনি (প্রকৌশলী) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তাকে কেউ মারধর করেন নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাতজন শিক্ষকসহ তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে শনিবার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হবে।’
বগুড়ার সোনাতলা থানার ওসি বলেন, ‘রাত পৌনে ১০ টার দিকে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার