জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী কেন্দ্রীয়ভাবে ক্ষণগণনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের রামু সেনানিবাসেও একটি মনোজ্ঞ ও বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে রামু সেনানিবাসে কর্মরত সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা, কর্মচারীদের পাশাপাশি রামু ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রামু ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও বিএনসিসির সদস্যগণ অংশগ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জিওসি ১০ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার কক্সবাজার এরিয়া মেজর জেনারেল মো. মাঈন উল্লাহ চৌধুরী, ওএসপি, এডব্লিউসি, পিএসসি বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। জাতীয় অনুষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রধান অতিথি ক্ষণগণনা কর্মসূচি উপলক্ষে বিশেষভাবে নির্মিত একটি দৃষ্টিনন্দন ঘড়ির বাটন চেপে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ গণনার কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে জিওসি তার বক্তব্যের শুরুতে বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টাও কান্ডারি মহান রাষ্ট্রনায়ক জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, আগামী ১৭ মার্চ হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ও বাঙালি জাতির অহংকার আমাদের জাতির পিতার শততম জন্মদিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন স্বপ্ন দেখেছেন একটি সুজলা, সুফলা ও সুখি বাংলাদেশের। এদেশের মাটি ও মানুষের জন্য এই মহান পুরুষ নিজের অন্তরে যে ভালোবাসা লালন করতেন সেই ভালোবাসাকে ধারণ করে, সেই মমতাকে শক্তিতে পরিণত করে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে। জাতির পিতা আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন আজীবন।
উল্লেখ্য, উক্ত অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত কেন্দ্রীয়ভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠান এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে সরাসরি প্রদর্শিত হয়। এছাড়া দেশাত্মবোধক গান ও ডিসপ্লের আয়োজন করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক