বরগুনার পাথরঘাটায় চুরির অভিযোগে মাহতাব (১৪) নামের এক শিশুকে পিটিয়ে জখম করেছে কয়েক জন দোকানি। পুলিশ আহতাবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, রবিবার বিকেলে উপজেলার হাতেমপুর বাজারের খালেকের দোকানের ভেতর থেকে মাহতাবকে চোর সন্দেহে আটক করে বাঁধে দোকানি ও স্থানীয় কয়েক জন এরপর খালেক ও তার ছোটোভাই সালেহ এবং অপর এক দোকানদার রাজা মল্লিক মাহতাবকে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে ওই তিনজন শিশুটিকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশকে খবর দিলে গ্রামপুলিশ পাথরঘাটা থানায় বিষয়টি জানায়।
পাথরঘাটা থানার এস আই মোশাররফ হোসেন ঘটনাস্থল থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
চিকিতৎসাধীন মাহতাব জানায়, তার বাড়ি সদর ইউনিয়নের রুহিতা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মোহাম্মদ ইউনুস মিয়া। শিশু মাহতাবের মা-বাবা উভয়েই দিয়ে ২য় বিয়ে করে সংসার করছেন। ফলে সে পিতৃমাতৃহীন অনাথ জীবন যাপন করছে। ক্ষেত খামারে শ্রমিকের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে মাহতাব। ওইদিন ক্ষুধার তাড়নায় দোকানে ঢুকে সে বিস্কুট খেয়েছিল, কোনো কিছু চুরি করেনি। মাহতাব আরও জানায়, তার হাতে পায়ে দোকানি সালেহ বেশ কয়েকটি কামড় দিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করেছে।
মাহতাবকে মারধরের বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে আবদুল খালেক ও তার ছোটো ভাই সালেহ বলেন, মাহতাব পেশাদার চোর। এর আগেও বেশ কয়েকবার সে বাজারের দোকানে চুরি করেছে। এবার হাতেনাতে ধরা পড়ায় এলাকার লোকজন মারধর করে তাকে পুলিশে দিয়েছে।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন জানান, মাহতাব মুলত ছিন্নমূল শিশু। মা-বাবার আদর স্নেহহীন ছন্নছাড়া জীবনযাপন করে সে। তাকে পুলিশ চিকিৎসা দিচ্ছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার