বগুড়ার ধুনটে চোলাই মদ তৈরি করতে নিষেধ করায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে কৃষক রঞ্জু প্রামাণিককে (৪০)।
কৃষক রঞ্জু হত্যা ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি তার স্ত্রী শিরিনা খাতুন বাদী হয়ে শৈলমারী গ্রামের আলতাব ফকিরের ছেলে সুলতান ফকির, তার ভাই ফিরোজ ফকির ও একই গ্রামের কপিল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হান্নান সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে ধুনট থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বগুড়ার ধুনট থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের মোকছেদ আলী প্রামানিকের ছেলে রঞ্জু প্রামানিক গত ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার রাত ১০টায় জমি চাষ করার সময় একদল যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। এঘটনার পর পরই তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি ফিরোজ ফকিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ধুনট থানায় দায়েরকৃত মামলা ও অনুসন্ধানে জানা গেছে, ধুনট উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের কয়েকজন যুবক দীর্ঘদিন ধরে তার বাড়ির পাশে চোলাই মদ তৈরী করে তা বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে আসছে। কিন্তু গ্রামের মধ্যে মদ তৈরী করতে নিষেধ করে প্রতিবেশি কৃষক রঞ্জু প্রামাণিক। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ওই যুবকরা। ঘটনার রাতে রঞ্জু তার বাড়ির পাশে পাওয়ার ট্রিলার দিয়ে বোরো ধানের জমি চাষ করছিলেন ঠিক সেই সময় মদ্যপান করে ৫/৬জন ব্যক্তি অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে তাকে আহত করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে কৃষক রঞ্জু প্রামাণিকের মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী শিরিনা খাতুন বলেন, আমাদের বাড়ির পাশেই সুলতান মদ তৈরি করতো। তাই মদ তৈরি করতে নিষেধ করায় সুলতানের সাথে আমার স্বামীর কয়েকদিন যাবত বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে সুলতান ও তার লোকজন আমার স্বামীকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে তিনি দাবি করেন।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে এবং একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল