গাজীপুরে শাসন করতে গিয়ে ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে মেয়েকে হত্যার অভিযোগে গৃহবধূর মা ও তার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত নীলা খাতুন (২০) শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার চরপাড়া বড়বাড়ি এলাকার নয়ন মিয়ার স্ত্রী।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের বাসন থানার এস আই উৎপল কুমার সাহা জানান, গত ১৩ মাস আগে শেরপুরের শ্রীবর্দী থানার চরপাড়া এলাকার হাবিব উল্লাহর ছেলে নয়নের সঙ্গে নীলার বিয়ে হয়। নীলাকে নিয়ে নয়ন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মোগরখাল এলাকায় মো. কবির হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে দর্জির কাজ করেন। নীলার মা রত্না বেগম পার্শ্ববর্তী চান্দনা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের বাড়িতে স্বপরিবারে ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। স্বামী নয়ন ও তার স্ত্রী নীলার মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। এসব নিয়ে নয়ন তার শাশুড়ি রত্না বেগমের কাছে অভিযোগ করেন। সোমবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে রত্না বেগম কর্মস্থল থেকে সরাসরি মেয়ের বাসায় যান। সেখানে মেয়েকে শাসনের একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে রত্না বেগম মেয়ের গলায় থাকা ওড়না টেনে ধরেন। এসময় নীলা নিস্তেজ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় স্বজনরা নীলাকে দ্রুত গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নীলাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরো জানান, নিহতের কান গিয়ে রক্তক্ষরণের চিহ্ন রয়েছে। পরে রাতেই নিহতের স্বামী নয়ন (৩০) ও মা রত্না বেগম (৩৫) কে আটক করা হয়। রত্না বেগম পাবনার চাটমোহর থানার বিন্নাবাড়ী এলাকার নিফাজ উদ্দিনের স্ত্রী। নয়ন শেরপুরের চরপাড়া বড়বাড়ি এলাকার হাবিবুল্লাহর ছেলে।
এ ব্যাপারে নিহতের বড় বোন মিনারা বাদী হয়ে বাসন থানায় মামলা করেছেন। আটককৃতদের মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার