দিনাজপুরের কাহারোলের ছয় ইউনিয়ন পরিষদের ১০টি গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণভাবে পারাপারের মাধ্যম ঢেপা নদীর উপর বাঁশের সাঁকো। দুর্ভোগ পোহাতে হয় এ অঞ্চলের মানুষকে। এ ঢেপা নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে আশপাশের বসবাসরত সর্বসাধারণের জীবনযাত্রার মান পাল্টে যাবে এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। তেমনি শক্তিশালী হবে গ্রামীণ অর্থনীতি।
কয়েক বছর পূর্বে দিনাজপুরের দশ মাইল থেকে ঢেপা নদীর পূর্বপাশ এবং নদীর পশ্চিম পাশে কাহারোল বাজার পর্যন্ত পাকা রাস্তা নির্মিত হলেও আজও নির্মিত হয়নি ব্রিজ। ব্রিজ না হওয়ায় এলাকার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। তাই ব্রিজ নির্মাণের দাবি ওইসব গ্রামের অধিবাসীদের। এই বাশেঁর সাঁকোটি পার হতে জনপ্রতি ও মোটরসাইকেল ৫ টাকা নেওয়া হয় বলে জানায় স্থানীয়রা।
দিনাজপুরের কাহারোলের রামচন্দ্রপুর ইউপির উপর দিয়ে প্রবাহিত ঢেপা নদীর এ আশ্রম ঘাটের ব্রিজ নির্মিত না হওয়ায় দীর্ঘদিন থেকে এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ যাতায়াত করছে। প্রতিদিন বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে কৃষক, ব্যবসায়ী, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। গর্ভবতী নারী, শিশু, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা ও অসুস্থ রোগীদের এ সাঁকোর উপর দিয়ে পারাপার করা যেমন ভীতিকর, তেমনি খুব কষ্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ। এরপরেও এই সাঁকো দিয়ে মোটরসাইকেল ও ভ্যান ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করে।
কাহারোলের রামচন্দ্রপুর, সুন্দরপুর, সুন্দরবন, আজিমপুর, রাজরামপুর, তারগাঁওসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের মানুষ এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে। এই সাঁকো দিয়ে শত শত ছাত্রছাত্রী স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে। পরমেশ্বরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাত্র প্রথম শ্রেণিতে পড়া তুহিন বলেন, একা স্কুলে যাওয়ার সময় বাশেঁর সাঁকো দিয়ে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই একা স্কুলে যেতে ভয় লাগে।
স্থানীয় ইটভাটা শ্রমিক সদরু রায় বলেন, চেয়ারম্যান মেম্বাররা এবং উপজেলা চেয়ারম্যানসহ অনেক নেতাই আমাদের অনেক বার আসার বাণী দিয়েছেন কিন্তু বাস্তবে কাজ হয় নাই। বর্তমানে বাঁশের খুুটি নষ্ট হওয়ায় সাঁকোটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। রামচন্দ্রপুর ইউপির স্থানীয় মেম্বার তারিনী কন্তি রায় জানান, ব্রিজের নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এবার এই ব্রিজটি হবে আশা করি।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক