সিরাজগঞ্জ শহরে ছাত্রলীগের উদ্যোগে একটি সভা করাকে কেন্দ্র করে একই দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও মারপিটের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি আরও ৩টি মামলা হয়েছে। ৩ ফ্রেরুয়ারি দায়ের করা এসব মামলায় দলের বিভিন্ন ইউনিটের ১৪৪ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। এরআগে ২ ফ্রেরুয়ারি ২টি মামলায় ৭১ জনকে আসামি করা হয়। ওইসব মামলায় ৭ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করার পর তারা জেলহাজতে রয়েছে। এ নিয়ে উভয়পক্ষে মোট মামলার সংখ্যা দাঁড়ালো ৫টি।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- শহরের গয়লা এলাকার আকমল হোসেনের ছেলে আল আমিন (২৭), একডালা মহল্লার আকতার হোসেনের ছেলে সেজান (২৩), একই এলাকার হরমুজ আলীর ছেলে এব্রা (৩০) ও আব্দুর রশিদের ছেলে সুমন (৩০)।
সদর থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ জানান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জিহাদ আল ইসলাম, একডালা মধ্যপাড়ার সুমির আলীর ছেলে সুমন এবং একডালা এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে সাব্বির সেখ বাদী হয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও মারপিটের অভিযোগ এনে সোমবার রাতে মামলা ৩টি দায়ের করেন। এরপর রাতেই অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করার পর মঙ্গলবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলাগুলোর শীর্ষ পর্যায়ের আসামিরা হলেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাংবাদিক হেলাল উদ্দিন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য বেলাল হোসেন (কালা বেলাল), সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিম রেজা নুর দিপু, জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক একরামুল হক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসান হাবিব খোকা, পৌর যুবলীগের আহবায়ক এমদাদুল হক এমদাদ, ট্রাক ও ট্যাংক লরি মালিক সমিতির সভাপতি একরামুল হক রিজভী, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আব্দুল মতিন, সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউপির চেয়ারম্যান নবীদুল ইসলাম। প্রায় প্রতিটি মামলায় একই ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার