ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে কর্মরত আড়াই শতাধিক চীনা নাগরিক ‘নজরদারিতে’ রয়েছেন। করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। সম্প্রতি চীন গিয়েছেন এমন সাত নাগরিককে বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষাও করানো হয়েছে। তবে কারো শরীরেই করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানিতে ২৫৬ জন ও মিডল্যান্ড পাওয়ার স্টেশন কোম্পানিতে পাঁচজন চীনা নাগরিক কর্মরত আছেন। এছাড়া সাইলোতে কর্মরত আছেন পাঁচ ফিলিপাইন নাগরিক। চীনা নাগরিকদের মধ্যে সাতজন সম্প্রতি তাদের দেশ থেকে ঘুরে আসায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। একজনকে ১৪ দিন পর্যন্ত বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়। তবে কারো শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। ওই নাগরিকদের নজরদারিতে একজন কনসালটেন্ট এর নেতৃত্বে সেখানে মেডিকেল টিম কাজ করছে।
এদিকে, আখাউড়া স্থলবন্দরে মেডিকেল ডেস্ক বসার পর এ পর্যন্ত দুই সপ্তাহে মাত্র চারজন বাংলাদেশি নাগরিক পাওয়া গেছে যারা সাম্প্রতিক সময়ে চীন ভ্রমণ করে ভারতে যাওয়া-আসা করেন। তবে কারো শরীরেই করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। তবে একাধিক যাত্রী তথ্য ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেছেন বলে ভারতীয়দের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ভারতীয় অংশে একজন মেডিকেল অফিসারের নেতৃত্বে মেডিকেল টিম কাজ করছে। যদিও বাংলাদেশে মেডিকেল অফিসার নেই।
বাংলাদেশের ডেস্কের স্বাস্থ্য কর্মী নাজমা আক্তার ও ফোরকান আহমেদ ভূঁইয়া জানান, তারা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন চীন ভ্রমণ বিষয়ে। যাতায়তকারী প্রত্যেকেরই শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম বলেন, আমাদের পাশাপাশি পুলিশ ও বিজিবিও এ বিষয়ে খেয়াল রাখছে। যে কারণে তথ্য ফাঁকি দিয়ে কারো চলে যাওয়ার সুযোগ নেই। মিনি থার্মাল স্ক্যানার দিয়ে যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা হয়। চীন থেকে ভ্রমণ করে আসা কারো বিষয়ে সন্দেহ হলে তাকে উন্নত পরীক্ষা করানো হবে।
আশুগঞ্জে থাকা চীনাসহ অন্যান্য বিদেশি নাগরিকদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম