ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার বিদ্যানগরে শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে নলকূপ বসাতে করা বোরিংয়ের মুখ দিয়ে গ্যাস, বালু ও পানি উদগিরণের ৮ দিন পর অবশেষে শুরু হয়েছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। মঙ্গলবার থেকে উপজেলা প্রশাসন নির্দেশনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
উৎকণ্ঠা ও শঙ্কা নিয়েই শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন দুটি বাদ দিয়ে বর্তমানে একটি ভবনে তিনটি কক্ষে ক্লাশ করছে শিক্ষার্থীরা।
গ্যাস উদগিরনের মাত্রা কমে গেলেও এখনও সেখানে বুদবুদ বের হচ্ছে অবিরত। প্রশাসনের নির্দেশে উদগিরণের জায়গাটিকে বাশ এবং টিনের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এখনও উৎসুক মানুষ কুপটিকে দেখতে আসে।
স্থানীয়রা জানায়, গত রবিবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করে আবার প্রবল বেগে উঠতে শুরু করে বালি ও পানি। প্রায় ২০ ফিট উচু হয়ে উঠতে থাকে পানি ও বালি। প্রবল বেগে বালি ও পানি বের হওয়ার কারনে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় বিদ্যালয়সহ আশে পাশের পরিবেশ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সালদা গ্যাস ফিল্ডের লোকজন। যোগাযোগ করা হয় বাপেক্স কর্তৃপক্ষের সাথে। প্রায় ২ ঘণ্টা পর আবার বেগ কমে গিয়ে বুদবুদে পরিণত হয়।
কর্তৃপক্ষ জানায়, ভয়ের কিছু নেই আপনা থেকেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে পুনরায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও স্বাভাবিক হওয়ায় মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বায়েক ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন ভূইয়া জানান, গ্যাস উদগিরণ কম থাকায় প্রশাসনের নির্দেশে কূপের চারপাশে বেড়া দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যাতে কূপের পাশে যেতে না পারে সে ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের দুটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বর্তমানে একটি ভবনের ৩টি কক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। এখনও বিদ্যালয়ের পরিষ্কার পরিচ্ছনতার কাজ চলছে। শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বৃদ্ধি হলে পাশে অবস্থিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম