নোভাক জোকোভিচের বয়স ৩৭। ক্যারিয়ারের একেবাড়ে পড়ন্তবেলায় এসে পৌঁছেছেন তিনি। বেশি দিন যে খেলবেন না সেটার আগাম ইঙ্গিতই হয়তো দিয়ে দিলেন এই সার্বিয়ান। মাদ্রিদ ওপেনে দ্বিতীয় রাউন্ডে বিধ্বস্ত হওয়ার পর জানিয়েছেন, হয়তো এটাই ছিল মাদ্রিদ ওপেনে তার শেষ অংশগ্রহণ।
শনিবার ইতালির মাত্তেও আরনালদির কাছে হেরেছেন আসরের তিনবারের চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচ। চতুর্থ বাছাইয়ের কাছে ৬-৩, ৬-৪ গেমে হেরেছেন তিনি। তার পরেই জানান, এই টুর্নামেন্টে আর ফিরবেন কিনা সেটা নিশ্চিত নন তিনি।
ট্যুর পর্যায়ে শততম শিরোপা জয়ের খোঁজে থাকা জোকোভিচ মার্চের শেষে মায়ামি ওপেনেও অপ্রত্যাশিত হার দেখেছেন। তারপর এই মাসে মন্তে কার্লোতেও বিদায় নিয়েছেন দ্বিতীয় রাউন্ডে। টানা তিনটি পরাজয়ই সরাসরি সেটে এসেছে। তাই টানা পরাজয় জোকোভিচকে ভালোবোধ করতে দিচ্ছে না, অবশ্যই এভাবে হারলে তো ভালো লাগবে না। তবে এই বছর আমার এমন কয়েকটা অভিজ্ঞতা হয়েছে,যেখানে প্রথম রাউন্ডেই দুর্ভাগ্যবশত হেরেছি।
তিনি বলেন, এখানে ইতিবাচক দিক হলো মন্তে কার্লো বা অন্য টুর্নামেন্টের চেয়ে নিজেকে বেশি উপভোগ করেছি। কিন্তু যে পর্যায়ে আমার টেনিস থাকার কথা, সেখানে তা নেই। তবে এটাই সত্যি। আমি ভালো খেলোয়াড়ের কাছে হেরেছি।
২০২৩ সালে চারটি বড় টুর্নামেন্টের মধ্যে তিনটি জয়ী হওয়া সত্ত্বেও ফর্ম ধরে রাখতে পারেননি জোকোভিচ। তার জায়গায় শিরোপা জেতেন ইয়ানিক সিনার ও কার্লোস আলকারেজ। জোকোভিচ স্বীকার করে নিচ্ছেন সেই বাস্তবতা, এটা আমার জন্য নতুন বাস্তবতা, এটা বলতে হবে। এখন ম্যাচ জেতার জন্য লড়ছি, আর বেশি দূর যাওয়ার কথা ভাবছি না। ২০ বছরেরও বেশি পেশাদার টেনিস ক্যারিয়ারের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন এক অনুভূতি, তাই এটা আমার জন্য মানসিকভাবে একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যখন নিয়মিতই টুর্নামেন্টের শুরুতেই বিদায় নিতে হচ্ছে। কিন্তু এটাই জীবনচক্র আর ক্যারিয়ারের চক্র, শেষ পর্যন্ত এটা ঘটারই কথা ছিল।
বিডি প্রতিদিন/কেএ