ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রেলপথে চলাচলরত আন্তঃনগর কালনী এক্সপ্রেস, ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রেলপথে চলাচলরত বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রারিবতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রেলপথে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন চালু, বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের আসন বৃদ্ধি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত করার দাবিতে শনিবার সকালে জেলা নাগরিক ফোরামের ডাকে অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের ১নং প্লাটফরমে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে সংগঠনের সভাপতি পিযূষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা জাসদ সভাপতি অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আবদুন নূর, কমিউনিস্ট পার্টির সাধারন সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, আবু হোরায়রাহ, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা অভিমুখে বিভিন্ন ট্রেনে আসনের অতিরিক্ত ১০ গুণ যাত্রী আসনবিহীন টিকিট কেটে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করেন। যে কারণে কালোবাজারির কাছ থেকে অনেকেই চড়া মূল্যে টিকিট কিনতে বাধ্য হন। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যে নাগরিক ফোরামের চার দফা দাবি না মানলে রেলপথ অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দেয়া হবে বলে এ সময় ঘোষণা দেয়া হয়। কর্মসূচি চলাকালে শতশত মানুষ রেললাইনে উপর অবস্থান নিলে ঢাকাগামী কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে অনির্ধারিত যাত্রাবিরতি দেয়। পরে ১৫ মিনিট পর কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ত্যাগ করে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার