ঠাকুরগাঁওয়ে তালাক দেওয়ার তিন মাস পর মোবাইলে স্ত্রীকে বাড়িতে ডেকে এনে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্বামী সাদ্দাম হোসেন ও তার পরিবারের স্বজনদের বিরুদ্ধে। সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের খালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার সকালে সাদ্দামের বাড়ির উত্তর পাশে ছোট একটি আম গাছে নাজমার মরদেহ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পরে নাজমার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় পুলিশ।
গৃহবধূ নাজমা আক্তার (২২) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার গোয়ালকারী গ্রামের নাজমুল হকে মেয়ে। তার ৯ মাস বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
নাজমার মামা সামশুল হক জানান, গেল দুই বছর সদর উপজেলার রহিমানপুর খালপাড়া গ্রামের বাচ্চা বাবুর ছেলে সাদ্দামের সাথে বিয়ে হয় নাজমার। গত ৩ মাস হলো স্বামী সাথে সালিশ বৈঠকে নাজমার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।
তিনি অভিযোগ, বিয়ের সময় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক নিলেও তালাকের সময় ৮০ হাজার টাকা নাজমার পরিবারকে ফেরত দেয় সাদ্দাম। নাজমার ৯ মাস বয়সের এক কন্যা সন্তান আছে। মেয়েকে দেখার কথা বলে সাদ্দাম নাজমাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি মোবাইলে বাড়িতে নিয়ে আসে। এ সময় নাজমার পরিবারের কাছে সেই ৮০ হাজার টাকার জন্য চাপ দেয়। কিন্তু তার পরিবার টাকা দিতে রাজি না হলে সোমবার রাতে নাজমাকে হত্যা করে গাছে ঝুঁলিয়ে রাখে সাদ্দামের পরিবার। খবর পাওয়ার পরে সাদ্দামের বাবা বাচ্চা বাবুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনার সঠিক তদন্ত সাপেক্ষ দোষীদের বিচার দাবি করেন নাজমার মামা।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাকিলা বলেন, নাজমার মরদের উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রির্পোটের পরে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব