কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই নারীর মধ্যে মারামারিতে লাঠির আঘাতে নুর নাহার ( ৪৪) নামের অন্য এক নারী নিহত হয়েছেন। নুর নাহার দু'পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করতে এসেছিলেন। এ ঘটনায় মারামরি করা দুই নারীও আহত হয়েছেন।
নিহত নারী হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা পুরোনো রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা নুর আলমের স্ত্রী। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে ওই ক্যাম্পের বি ব্লকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মনির হোসেন।
লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, ক্যাম্পের ৭ নম্বর কক্ষের সঙ্গে ৫ নম্বর কক্ষে শিশুদের ঝগড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড়দের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এ সময় ৭ নম্বর কক্ষের ফারুকের স্ত্রী রোকেয়ার সঙ্গে ৫ নম্বর কক্ষের মোহাম্মদ আমিনের দুই মেয়ে ফেরদৌসি ও অল মরিজানের মারামারি শুরু হয়। এ ঘটনায় নুর নাহার উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করার জন্য ঘরের সামনে দাঁড়ালে তাঁর ঘাড়ে লাঠির আঘাত লাগে। গুরুতর আহত হয়ে সে মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় ফেরদৌসি (২৫) ও অল মরিজান (৩৩) আহত হন।
পরে আশপাশের অন্য রোহিঙ্গারা তাদের উদ্ধার করে আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএমের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক নুর নাহারকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত অপর দুজন ফেরদৌসি ও অল মরিজানকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে।
উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল