বিশ্বের সকল ভাষাকে বিকাশের একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে উইকিপিডিয়া। সাঁওতালি ভাষা কমিউনিটির মতো বিশ্বের অন্যান্য আদিবাসী ভাষার কমিউনিটিরা চাইলে উইকিপিডিয়াকে তাদের ভাষা বিকাশের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
বুধবার দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সাঁওতালি উইকমিডিয়ানসর দিনব্যাপী কর্মশালায় উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি ক্রিস্টেল স্টেইজেনবার্গার এসব কথা বলেন।
উইকমিডিয়ানস অব সাঁওতালি ল্যাংগুয়েজ ইউজার গ্রুপ-এর আয়োজনে দিনব্যাপী এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় বক্তারা ইন্টারনেটে সাঁওতালি ভাষার বিষয়বস্তু বা কনটেন্ট সমৃদ্ধ করার তাগিদে সাঁওতালি উইকিপিডিয়া সমৃদ্ধ করার আহ্বান জানান। এই কর্মশালায় ২০ জন সাঁওতাল প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
উইকমিডিয়ানস অব সাঁওতালি ল্যাংগুয়েজ ইউজার গ্রুপ-এর বাংলাদেশ কোঅর্ডিনেটর এবং সাঁওতালি উইকিপিডিয়ার প্রশাসক মানিক সরেন বলেন, ‘বর্তমানে সাঁওতালি ভাষার এই উন্মুক্ত বিশ্বকোষে দুই হাজারের অধিক নিবন্ধ যুক্ত হয়েছে। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি স্থান পেয়েছে সাঁওতাল সমাজ, সংস্কৃতির নানা বিষয়। সাঁওতালি উইকিপিডিয়ায় সাঁওতাল পন্ডিত রঘুনাথ মুরমুর আবিষ্কৃত ‘অলচিকি’ লিপি ব্যবহার করা হয়েছে। সাঁওতালি ভাষায় এই উইকিপিডিয়াটি সমৃদ্ধ করতে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের সাঁওতালরা যৌথভাবে কাজ করেছেন।’
কর্মশালায় প্রধান অতিথি দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল বলেন, ভাষার মাসে দেশের আদিবাসী ভাষাগুলোর বিকাশের জন্য আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে।
এই কর্মশালায় উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি ক্রিস্টেল স্টেইজেনবার্গার, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল, ডেইলি স্টারের সাংবাদিক কঙ্কন কর্মকার, উইকমিডিয়ানস অব সাঁওতালি ল্যাংগুয়েজ ইউজার গ্রুপের বাংলাদেশ কোঅর্ডিনেটর ও সাঁওতালি উইকিপিডিয়ার প্রশাসক মানিক সরেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২রা আগস্ট সাঁওতালি উইকিপিডিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশে বাংলা ও বিষ্ণুপ্রিয়া মনিপুরী ভাষার পরে সাঁওতালি ভাষায় উইকিপিডিয়া চালু রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম