নেত্রকোনার দূর্গাপুর উপজেলার কালামার্কেট এলাকায় পিকাপভ্যানে (মলমগাড়িতে) সাউন্ডবক্স বাজিয়ে পিকনিক থেকে ফেরার পথে প্রথমে লড়ির ধাক্কায় ও পরে ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হয়েছে। মুমুর্ষ অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেলে অপর আরেকজন মারা গেছে।
নিহতরা হচ্ছে- ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার আরশাদুল, ইয়াসিন, হৃদয় ও মাহবুব। হৃদয় গৌরিপুরের লামাপাড়া গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। এসময় আহত হয়েছে আরো কমপক্ষে সাত জন। শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। তাদের প্রত্যেকেই ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্ধা ও সদ্য সমাপ্ত চলতি এস এস সি পরীক্ষার্থী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলা থেকে দুটি পিকাপভ্যানে করে ৪৬ জন কিশোর নেত্রকোনার দূর্গাপুর সীমান্তে যান পিকনিকে। তাদের সকলেই সদ্য সমাপ্ত করেছে এস এসসি পরীক্ষা। তারা শনিবার সকালে পিকনিক করে রাতে ফিরছিলো। একটি পিকাপে ২১ জন ও অরেকটিতে ২৫ জন কিশোর ছিলো। ২১ জন বহনকারী পিকাপভ্যানটি আগেই চলে যায়। পিছনে পড়ে থাকা ২৫ জন বহনকারী পিকাপভ্যানটি শান্তিপুর কালামার্কেট এলাকায় পৌঁছলে একটি বালুবাহী লড়ি পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়।
এতে পিকাপভ্যানে থাকা কিশোর বেশ কয়েকজন ছিটকে পড়ে যায় সড়কে। সাথে সাথেই বিপরীত দিক থেকে আসাএকটি দ্রæতগামী ট্রাক তাদরে ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হয়েছে। আরেকজনকে দুর্গাপুর হাসপাতালে নিলে ডাক্তার মৃত ঘোষনা করেন। এছাড়া আহত হয় কমপক্ষে আরো সাত জন। আহতদের মধ্যে মূমূর্ষ অবস্থায় শাহিন , আলামিন ও মাহবুবকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে মাহবুব নামের অপর আরেকজনের মৃত্যু হয়। এছাড়া অন্যদেরকে বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পরপরই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা বিক্ষোভ করা শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে দূর্গাপুর থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন