হবিগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহের রোগী বহনকারী ট্রাক চালক ও হেলপারকে আটক করে আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে। রবিবার রাত ১০টায় বাহুবল থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে। পরে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আইসোলেশন বিভাগে ভর্তি করে।
পুলিশ সূত্র জানায়, বাহুবল উপজেলার ভাদ্বেশর ইউনিয়নের সুন্দ্রাটিকি গ্রামের এখলাছ মিয়ার পুত্র লিমন মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে কাজ করতো। ঢাকায় থাকা অবস্থাকালে সে তার মা-বাবাকে ফোন করে করোনা সন্দেহে শারারীক অসুস্থতার কথা জানায়। রবিবার বিকেলে প্রতিবেশি মোজাম্মেল হকের ট্রাক দিয়ে তাকে ঢাকা থেকে বাড়ি উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। এ খবর পেয়ে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকার লোকজন ট্রাকটি আটক করে। এ সময় ট্রাকে লিমন মিয়াকে না পেয়ে ট্রাক চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, লিমন অলিপুর এলাকায় নেমে গেছে। পরে ট্রাক চালক ও হেলপারকে আটক করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে আইসোলেশন বিভাগে প্রেরণ করা হয়।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বিপিএম-পিপিএম জানান, করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহের রোগী বহনকারী ট্রাক আটক করে চালক ও হেলপারকে আইসোলেশন বিভাগে প্রেরণ করা হয়।আমরা এ বিষয়টি অধিক গুরুত্বের যাচাই-বাছাই করে দেখছি।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার মুখলিছুর রহমান উজ্জল জানান, আইসোলেশনের ভর্তিকৃত ট্রাক চালক ও হেলপারের নমুনা পরীক্ষার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও হবিগঞ্জের আরও যে ২১ জনের নমুনা ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছিল। তার রিপোর্ট এসেছে তাদের শরীরের কোন ধরণের করোনাভাইরাসের অস্থিত নেই।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ