করোনাভাইরাস প্রতিরোধে প্রায় একমাস যাবত দেশে অঘোষিত লকডাউন চলছে। অনেকে কর্মহীন। ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। রাস্তায় জনসমাগম কমেছে। কর্মহীন মানুষগুলো ঘরে বন্দী রয়েছে। আয় উপার্জন বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় চরম দুর্বিসহ জীবনযাপন করছে সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে ভিক্ষুক-ছিন্নমূল, বিধবা ও দরিদ্র শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে।
পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে জীবনযাপন করছে তারা। সরকারীভাবে ত্রাণ দেয়া হলেও ভিক্ষুক-ছিন্নমূল, বিধবা ও দরিদ্র শ্রমিকদের অনেকাংশ এখনো বঞ্চিত রয়েছে। যে কারণে এসব শ্রেণির মানুষগুলো সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে।
সরেজমিনে শহরের রেলকলোনী, মাহমুদপুর, মাছুমপুর, মিরপুর মহল্লা গেলে এলাকাগুলোর ভিক্ষুক-ছিন্নমূল, বিধবা ও দরিদ্র শ্রমিকরা জানান, প্রায় একমাস যাবত কর্মহীন রয়েছি। ঘরে খাবার নেই। কাছে টাকাও নেই। আগে ভিক্ষা, ঘষি (গরুর গোবর) বিক্রি ও রিক্সা চালিয়ে দিন এনে দিন খেয়ে জীবনযাপন করতাম। এখন সব কাজ কর্ম বন্ধ থাকায় মানবেতরভাবে মধ্যে জীবনযাপন করছি। চেয়ারম্যান- মেম্বরদের কাছে যেতে পারি না। এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের একমুঠো চাল দিয়েও সহায়তা করেনি।
শুধু এই তিনটি গ্রামেরই প্রায় ৫ শতাধিক দুস্থ পরিবার ত্রাণ সহায়তা থেকে বঞ্চিত। এরকম জেলার দুই শতাধিক গ্রামের অনেক পরিবার সহায়তা বঞ্চিত রয়েছে।
বাজার স্টেশন এলাকার ছিন্নমুলক হাসিনা বেগম জানান, কোন কাজকর্ম নেই। হাতে একটাকাও নেই। এক বেলা খেয়ে জীবনযাপন করছি। নাইট গার্ড বাদশা জানান, এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ পাইনি। বয়োবৃদ্ধ রিক্সাওয়ালা আব্দুল হালিম, মাহমুদুল, আলমাজ বলেন, 'চেয়ারম্যান মেম্বরাও মুখ দেখে দেখে ত্রাণ দেয়। আবার কয় এখন নাই পরের বার দিবো। পরের বার আর শেষ হয় না। তাই পেটের দায়ে মাঝে মাঝে রিক্সা নিয়ে বের হই।'
এ অবস্থায় এসব দুঃস্থ মানুষগুলো জেলা প্রশাসন বা উপজেলা প্রশাসন থেকে সরাসরি ত্রাণ সহায়তা পাবার দাবি জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল