করোনাভাইরাসে শনাক্ত হওয়ার পর আত্মগোপনে চলে যাওয়া সেই ব্যক্তিকে বগুড়া সদর থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে। বুধবার রাতে বগুড়া সদরের শেখোরকোলা নিজ গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করে সে বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এদিকে বগুড়ার সোনাতলায় আরো এক নারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
জানা যায়, ওষুধ কোম্পানিতে চাকুরিরত ওই ব্যক্তি ঢাকা থেকে ফিরে আসার পর অসুস্থ বোধ করলে ২৮ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়। ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েই তিনি আত্মগোপনে চলে যান। নমুনা দেওয়ার সময় তিনি নিজেকে জেলা শহরের ফুলতলা এলাকার বাসিন্দা বলে ঠিকানা দেন।
সে ঠিকানায় সদর থানা পুলিশ ও স্বাস্থ্য কর্মীরা তাকে খুঁজে না পেয়ে ফিরে আসে। পরে বগুড়া সদর থানা পুলিশ তার সন্ধানে নামে। ২৯ এপ্রিল তার সন্ধান পাওয়ার পর শহরের ফুলতলা এলাকার ভাড়া নেয়া বাড়িটি লকডাউন করে রাখে। এই বাড়িতে তার স্ত্রী ও সন্তান ছিল। আর তাকে শেখোরকলা গ্রামে তাকে লকডাউন করে রাখা হয়েছে।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম বদিউজ্জামান জানান, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়ার পর আত্মগোপন করেন। পরে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে তাকে বগুড়া সদর উপজেলার শেখোরকোলা গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়। যে বাড়ি থেকে পাওয়া গেছে সেখানেই তাকে লক ডাউন করে রাখা হয়েছে।
এদিকে ২৯ এপ্রিল বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের (শজিমেক) পিসিআর ল্যাবে ১৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮২টি নেগেটিভ, ৪টি পজিটিভ হয়। পজেটিভ হওয়ার মধ্যে ১টি বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় নারী অপর ৩ জন জয়পুহাটের বাসিন্দা।
বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, বগুড়ার সোনাতলায় আক্রান্ত নারীর স্বামী সোনাতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিল। তিনি গত ২২ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন। এরপর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করা হয়। এরপর ওই নারীও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন