সন্ত্রাসীরা স্কুল শিক্ষিকা, তার স্বামী ও সন্তানকে পিটিয়ে আহত করে উল্টো তাদের বিরুদ্ধেই মামলা দিয়েছে। ঘটনাটি কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার দেওপুর গ্রামের। এ বিষয়ে আজ রবিবার কিশোরগঞ্জ প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ন্যায়বিচার ও সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষিকা নাসরীন জাহান রেবা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তিনি করিমগঞ্জের নোয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, তার স্বামী ছায়েদুজ্জামান একই উপজেলার নিয়ামতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তার একমাত্র ছেলে মোহাইমিন আল ফুয়াদ এমবিবিএস পড়ুয়া।
গত ৫ মে তাদের পুকুরে প্রতিবেশি আব্দুল কাইয়ুম, আহাদ মিয়া, আজিজুল হক, ইকবাল, রত্না, সাফিয়া, সাইদু জোরপূর্বক মাছ ধরতে ও গাছ কাটতে যায়। এ সময় বাধা দিলে তারা ঘরে ঢুকে শিক্ষিকা নাসরীন জাহান রেবা, তার স্বামী ও সন্তানকে পিটিয়ে আহত ও শ্লীলতাহানী করে। এ সময় তার দেবর একটি কলেজের প্রিন্সিপাল ও তার কলেজ পড়ুয়া ছেলেকেও মারপিট করে তারা।
এ ব্যাপারে গত ৬ মে করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ আজিজুল হককে গ্রেফতার করে। শিক্ষিকা রেবা অভিযোগ করেন, পুলিশ আজিজুলকে গ্রেফতার করলেও পরে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পাল্টা মিথ্যা সাজানো মামলা নেয় পুলিশ। থানা হাজতে থেকেই আজিজুল বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। এর আগেও তারা হামলা ও নির্যাতনের শিকার হলেও সরকারি চাকুরি ও লোক লজ্জার ভয়ে প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি বলে জানান। হামলাকারীদের কেউ কেউ মাদক ব্যবসায়ী বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
সন্ত্রাসীদের হুমকিতে তারা এখন বাড়িতে যেতে পারছেন না। এ অবস্থায় গোটা পরিবারটি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
সংবাদ সম্মেলনে নাসরীন জাহান রেবা ও তার পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও করিমগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি শামসুল হক, সাধারণ সম্পাদক হাদিউল ইসলামসহ অন্যান্য শিক্ষক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন