প্রতিবছর ঈদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে দর্জি পাড়ার কারিগরদের দম ফেলার ফুরসত থাকতো না। এসময় তারা ব্যস্ত সময় পার করতেন। পছন্দের পোশাক বানাতে মানুষসজন দর্জির দোকানগুলোতে ভিড় জমতো আর দিনরাত চিরচেনা মেশিনের চাকা ঘুরার শব্দ শোনা যেত। এবার করোনার প্রভাবে তাদের ব্যবসা লাটে উঠেছে। এতে করে প্রায় ২’শ ৫০ দোকানের দুই হাজার কারিগর বেকার হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, করোনা প্রভাবের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে তাদের মেশিনের চাকা বন্ধ হয়ে যায়। ঈদকে সামনে রেখে সৌখিন গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্ডার পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু কাজ শুরু না করে প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাখায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন দর্জি কারিগররা।
দর্জিপট্টির কারিগর রমজান আলী বলেন, প্রতি বছর শবে বরাতের পর থেকে রমজানের মাঝামাঝি পর্যন্ত কাজের ধুম থাকতো। এইবার মজুরি পাওয়া তো দূরের কথা, দোকানই বন্ধ। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে কিভাবে ঈদ করব সেটা ভেবেই চোখে অন্ধকার দেখছি।
অন্য কারিগর তোফিকুল জানান, করোনার কারণে এইবার দর্জিপাড়ার পাল্টে গেছে দীর্ঘদিনের সেই কর্মকাণ্ডের চিত্র। দোকান বন্ধ থাকায় কারিগররা মানবেতর জীবন যাপন করছে। তারা সরকারের কাছে ত্রাণের দাবি করেছেন।
অন্যদিকে কয়েকটি টেইলার্সের মালিক জানান, সরকারি নির্দেশনায় প্রায় দেড় মাস ধরে দোকান বন্ধ রয়েছে। পোশাকের অর্ডারও নেই, ফলে মালিকসহ কারিগররা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন, এ ছাড়াও গুনতে হচ্ছে দোকান ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ