বান্দরবান জেলার সদর উপজেলা ও পৌর এলাকা এবং রুমা উপজেলাকে লকডাউন করেছে প্রশাসন। বুধবার (১০জুন) দুপুর ১২টার পর থেকে এই লকডাউন কার্যকর করা হয়। লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। টহল জোরদার করেছে সেনাবাহিনী। প্রধান প্রধান সড়ক গুলোতে বসানো হয়েছে চেকপোষ্ট।
দুপুরে বান্দরবান জেলার সদর উপজেলা ও পৌর এলাকা এবং রুমা উপজেলাকে রেডজোন ঘোষণা করে প্রশাসন বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
এদিকে অল্প সময়ে লংডাউন কার্যকর করায় এবং সাপ্তাহিক বাজারের দিন হওয়ায় সকাল থেকে বাজারে হাজার হাজার মানুষের ঢল নামে। এ সময় স্বাস্থ্যাবিধি মানেননি কেউ। অল্প সময় দিয়ে লকডাউন কার্যকর করায় প্রশাসনের সমালোচনা করেছে কেউ কেউ।
এরআগে গত ৬জুন বান্দরবানের লামা উপজেলা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাকে রেড জোন ঘোষনা করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এদিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রশীদা বেগম (৬৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১০ জুন) সকালে তার মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ঘোনা পাড়ার বাসিন্দা রহিম আলীর স্ত্রী রশীদা বেগম (৬৫) চিকিৎসাধীন অবস্থায় কক্সবাজার হাসপাতালে মারা গেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার ১৪ জন ও মঙ্গলবার ১০ জন নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে বান্দরবান জেলায় মোট ৭১ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। এঘটনায় বান্দরবান পাঁচ উপজেলা ও দুই পৌরসভা এলাকাকে রেড জোন ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ স্বাস্থ্য বিভাগ ও জেলা প্রশাসন।
বান্দরবান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, রেড জোন ঘোষিত এলাকায় প্রশাসন, পুলিশ, সেনাবাহিনী, চিকিৎসক, মানবিক সহায়তা/ত্রাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন, জরুরি ওষুধ, চিকিৎসা উপকরণ, কৃষি উপকরণ ও পন্যবাহী যানবাহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে রেড জোন ঘোষিত এলাকাগুলোতে হাট-বাজার, দোককানপাট ও সকল ধরণের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। লোকজন চলাচল থাকলেও খুবই সিমিত। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাড়ি থেকে বের হতে তেমন দেখা যায়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা: অং সুই প্রু মারমা জানিয়েছেন, বান্দরবান সদরে সোমবার নতুন করে ১৪ জন ও মঙ্গলবার ১০ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় ৭১ জন করোনা আক্রান্তে হয়েছে। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে ১৫ জন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার