অযত্ন অবহেলায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে ১০০ শতাংশেরও বেশি জায়গা নিয়ে প্রতিষ্ঠিত ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাঠ।
রাস্তা থেকে মাঠটি নিচু হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। ওই পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় মাসের পর মাস তা পঁচে দুর্গন্ধের সৃষ্টি করে। মাঠটির এক পাশে হাসপাতালের ময়লা-আবর্জনা এবং অন্য পাশের ক্লিনিকের আবর্জনা, কারো কারো বাসা-বাড়ি, হোটেল ও দোকানপাটের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়। এতে করে তা দুর্গন্ধময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডের পেছনের অংশ যেন মশা মাছি ও রোগ জীবাণু উৎপাদনের বড় কারখানা। ওখানে উৎপাদিত মশা জানালার ফাঁক দিয়ে ভেতরে ঢুকে রাতে রোগীদের রক্ত চুষে নেয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে সরকারি কোয়ার্টারে বসবাস করেন অধিকাংশ ডাক্তার ও নার্স। তাদের আবাসিক বিল্ডিংয়ের আশপাশে বড় বড় কচু গাছ, ঘাস, লতাপাতা ও অস্বাস্থ্যকর ঝোঁপঝাড়ে পরিণত হয়েছে। বাইরের ছেলে-মেয়ে দূরে থাক, মাঠটিতে তাদের নিজেদের ছেলে-মেয়েদেরও একটু খেলাধুলার কোনো ব্যবস্থা নেই। সুবিশাল মাঠ থাকার পরও কর্তৃপক্ষের অযত্ন অবহেলায় এক অস্বাস্থ্যকর ও খেলাধুলাবিহীন পরিবেশে বড় হচ্ছে হাসপাতাল এলাকার শিশুরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. প্রাণেশ চন্দ্র পন্ডিত বলেন, মাঠটি উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় ইতোমধ্যে পরিদর্শন করে গেছেন। এটি সংস্কার ও কাজে লাগানোর জন্য আমরা তাদের নিকট দাবি জানিয়েছি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল করিম রাসেল বলেন, হাসপাতালের প্রধান কর্মকর্তা ডা. রাশেদুজ্জামানের সাথে আলাপ হয়েছে। তিনি কিছু টাকা দিবেন আর আমিও ব্যক্তিগতভাবে কিছু টাকা দিয়ে মাঠের এক পাশে একটি ছোট পুকুর খননসহ এতে বিভিন্ন জাতের গাছের চারা রোপন করাব। এছাড়া হাসপাতালের বাউন্ডারি ওয়াল উঁচুকরণসহ যেসব ডাক্তার ও নার্স তাদের পরিবার নিয়ে এখানে বসবাস করেন তাদের ছেলে-মেয়েদের জন্য ছোট্ট পরিসরে একটা খেলাধুলার ব্যবস্থা করারও চিন্তা ভাবনা রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবটা কাটলে আমরা মাঠটি সংস্কার ও উন্নয়নের উদ্যোগ নিব।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন