নেত্রকোনার মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই সুমন মিয়া (২৪) নামের এক যুককে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় পুলিশ তিন জনকে আটক করেছে। শুক্রবার দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পূর্বের মারামারির ঘটনায় আহত হয়ে ভর্তি থাকা নারীকে দেখতে আসলে প্রতিপক্ষের লোকজন এ ঘটনা ঘটায়। পরে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেলে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় হাসপাতালে ভর্তি আব্দুল গণি বেচু, বিদ্যা মিয়া ও আজিজুলকে আটক করেছে মদন থানা পুলিশ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (টিএইচও) ডাক্তার ফখরুল হাসান চৌধুরী টিপু জানান, গত কয়েকদিন পূর্বে একটি মারামারির ঘটনায় বালালি গ্রামের আব্দুল গণি বেচু ও প্রতিপক্ষের এক নারী আহত হয়ে দুজনই হাসপাতালে এসে ভর্তি হন। শুক্রবার (১২ জুন) ওই নারীর এক আত্মীয় দেখতে এসে যাওয়ার পথে জরুরী বিভাগের কিছু দূরেই হাসপাতালে থাকা বেচুর ছেলেসহ তিনজন সুমনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। যেহেতু ফুসফুসে আঘাত লেগেছে তাই আমরা তাৎক্ষণিক ময়মনসিংহে প্রেরণ করি। তবে হাসপাতালের চত্বরে এমন ঘটনায় তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন। ডাক্তাদের এবং অন্যান্য রোগীদের জন্য এক ধরনের শঙ্কা সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি তারা আতঙ্কিত থাকেন।
মদন থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বালালী গ্রামে পূর্বশত্রুতার জের ধরে গত পাঁচদিন পূর্বে একই গ্রামের আবদুল গণি বেচুকে দৌলতপুর কালিবাড়ি মোড়ে প্রতিপক্ষের লোকজন মারপিট করে। পরে আব্দুল গণি বেচু মিয়ার লোকজন ইউপি সদস্য রিয়াজ আহমেদ সোহেলের বৃদ্ধ মার হাত ও আঙ্গুল ভেঙে দেয়। এরই জেরে সোহেলের খালাতো ভাই সুমন খালাকে দেখেতে মদন হাসপাতালে যান। যাওয়ার পথে হাসপাতালে থাকা বেচু মিয়ার ছেলে সানিসহ কয়েকজন হামলা চালিয়ে তার হাতের কবজি, বুকে পিঠে, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দিয়ে এলোপাতারি আঘাত করে। এ সময় স্থানীয়রা বিদ্যা মিয়া ও আজিজুলকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। বেচু মদন হাসপাতালে ভর্তি থাকায় পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করে।
ওসি মোঃ রমিজুল হক জানান, মদন হাসপালের ভেতরের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে বেচু, আজিজুল হক ও বিদ্যা মিয়াকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ