দিনাজপুরে সম্প্রতি সব খুলে দেয়ায় আগের মতোই চলা ফেরা শুরু করেছে সবাই, সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না অনেকেই। সেইসাথে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি নিয়েই ঘরের বাইরে মাস্ক ছাড়াই ঘোরা ফেরাসহ চলাফেরা করছেন অনেকে। দিনাজপুরের ফুলবাড়ীসহ বিভিন্ন উপজেলার গ্রামাঞ্চরের আঞ্চলিক সড়কে এসব চিত্র দেখা গেছে।
জানা যায়, গত ৩০মে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সংক্রমন প্রতিরোধ আইন ২০১৮ অনুযায়ী, ঘরের বাইরে চলাচলের ক্ষেত্রে সবসময় মাস্ক পরিধানসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর ধারা ২৪ (১), (২) ও ধারা ২৫ (১) ও (২) অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর এই আইন বাস্তবায়ন করবে জেলা-উপজেলা প্রশাসন ও যথাযথ কর্তৃপক্ষ। আইনের এই ধারা অনুযায়ী কেউ মাস্ক না পড়ে বের হলে ৬ মাস জেল অথবা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এছাড়া কেউ যদি এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাধা প্রদান বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন তাহলে তিন মাসের জেল এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে ওইসব ব্যক্তি শোনাচ্ছেন নানা অজুহাত। শনিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ফুলবাড়ী পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিপুল সংখ্যক মানুষ মাস্ক না পরেই চলাচল করছেন।
বাজার করে ফেরা মুখে মাস্ক না পরা একজনের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, বাড়ী থেকে তাড়াহুড়া করে বাজার করতে এসেছি, তাই বাসায় মাস্ক ফেলে এসেছি।
ফুলবাড়ীর বাসস্টান্ড এলাকায় মাস্ক না পরে চলাচলকারী এক শিক্ষক বলেন, ফাঁকা জায়গায় চলাচল করলে মাস্ক পরি না এবং লোকসমাগমে গেলে পরি।
পৌর এলাকার শাপলা চত্বর এলাকায় একজন পথচারী বলেন, আমার কাছে মাস্ক আছে। গরম লাগছে তাই এখন মাস্ক পরছি না কারণ আমার মাস্কটা একটু মোটা ধরনের। সবসময় কি মাস্ক পরে থাকা যায়!
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ