উজানের ঢল আর অবিরাম বৃষ্টির কারণে গত দুইদিন যাবত কুড়িগ্রামের ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমোর নদীসহ ১৬টি নদনদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে এসব নদী তীরের চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল সমূহে পানি ঢুকে পড়েছে। পানি বৃদ্ধিতে এ এলাকার বেশ কিছু জায়গায় কাঁচা সড়কে পানি উঠেছে এবং নিচু জমির আগাম জাতের কিছু সবজি খেত নিমজ্জিত হয়েছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা,তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।পানি বেড়ে গিয়ে নিমজ্জিত হয়েছে পাট, ভুট্টা,সবজি খেত ও সদ্য বেড়ে ওঠা বীজতলা। কয়েকটি এলাকায় পানি বেড়ে নদ-নদীর ভাঙনও বেড়েছে।রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কামারপাড়ায় ধরলার ভাঙনে দুইদিনে ৪টি বাড়ি বিলীন ও আরো ৮টি বাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য বাকিনুর রহমান জানান, সদর উপজেলার সারডোব এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে ধব্বস দেখা দিয়েছে।এখনও তেমন বর্ষা শুরু না হলেও বন্যার আগাম আভাস দেখা দিয়েছে বলে তিনি জানান।
ধরলা পাড়ের কৃষক মনিবুর রহমান জানায়, দুই দিনের উজানের পানিতে আমাদের চরের ভুট্টা খেত ডুবে গেছে। তাছাড়া পাট আধা ডুবা প্রায়। এখনও তেমন বৃষ্টি না হলেও উজানের পানিতে ধরলা নদীর পানি খুবই বেড়েছে বলে তিনি জানান।
এদিকে, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের চর কলাকাটার কৃষক মকবুল মিয়া জানায়, হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পেয়ে আমাদের কয়েকজন কৃষকের ৩ বিঘা পটল,ঝিঙে,বিভিন্ন শাক ও অন্য সবজি খেতে পানি ঢুকেছে।তাড়াতাড়ি পানি না নামলে এগুলো রক্ষা করা যাবে না।
এদিকে,পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়,গত ২৪ ঘণ্টায় ধরলা নদীর পানি বেড়ে সেতু পয়েন্টে বিপদ সীমার ৬২ সে.মি নিচ দিয়ে ও তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ৫৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম পানি বৃদ্ধির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উজানের পানি আসলেও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে সময় লাগবে।তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানি আরো বেড়ে যাবে বলে জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার