রংপুরে কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে অনলাইনে ৯টি পশুর হাট চালু হয়েছে। বুধবার জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস “পশুর হাট” নামে একটি অনলাইন পেজ খুলে এ হাট চালু করেছে। এই অন লাইন পেজে গরু পালনকারিদের পশুর ছবিসহ বিভিন্ন তথ্য রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর আশাবাদী এই অনলাইন গরুর হাটে ব্যাপক সারা পাওয়া যাবে।
জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের ৮ উপজেলায় ৮টি এবং জেলায় একটি অনলাইন পশুর হাট করা হয়েছে। “পশুরহাট” নামক এই অনলাইন পেজের মাধ্যমে ক্রেতারা সহজেই গরু ক্রয় করতে পারবে। এই হাট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকবেন সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ওসি ও উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা। রংপুরসহ দেশের অন্যান্য স্থানেও গরু পৌছে দেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। পশু পৌছে দেয়ার বিষয়ে রেল বিভাগের সাথে যোগাযোগ করছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ।
সূত্রমতে জেলায় গরু, ভেড়া ও ছাগল রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার। আর জেলায় পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার। চাহিদা মিটিয়েও ৪০ হাজারের বেশি গরু ছাগল উদ্বৃত্ত থাকবে। জেলায় খামারী এবং গরু পালনকারির সংখ্যা হচ্ছে ২৪ হাজার। প্রাণি সম্পদ অফিস গরু খামারী ও পালনকারিদের সাথে যোগাযোগ ও সমন্বয় করে ক্রেতাদের কাছে গরু পৌছে দিবেন।হারাগাছ এলাকার গরু খামারী রমজান আলী সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, করোনা দুর্যোগে অনলাইন পশুর হাট খামারীদেও পশুর ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির পাশাপশি করোনা সংক্রমণ ঝুঁকিও কমাবে।
জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা খন্দকার শাহ জালাল বলেন, অনলাইন পশুর হাটের সফলতার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করি অনলাইন হাটের মাধ্যমের অনেকই কোরবানির পশু ক্রয় করবেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার