পাহাড়ে পুষ্টির অভাবে নারীর মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। তিনি বলেন, পার্বত্যাঞ্চলে সন্তান প্রসবের সময় বেশিরভাগ নারীর মৃত্যু হয়। যার মূল কারণ পুষ্টিহীনতা। কারণ, এখনও পাহাড়ের দুর্গম অঞ্চলের নারীরা সচেতন হতে পারেনি। তারা জানে না, কোন খাবার শরীরের শক্তি ও পুষ্টির অভাব পূরণ করে। তাই যেসব এনজিও সংস্থা রয়েছে তাদের এ বিষয়ে আন্তরিক হতে হবে। বিশেষ করে পাহাড়ে স্বাস্থ্য বিষয় নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের এ বিষয়ে বেশি নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার সকালে রাঙামাটি জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে লিডারশিপ টু এনসিউর এডইকুয়েট নিউট্রিশন (লীন) প্রকল্পের পুষ্টি কার্যক্রমে বাজেট বিশ্লেষণবিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বৃষ কেতু চাকমা এসব কথা বলেন।
এ সময় রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নীতিশ চাকমা, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দ, যুব উন্নয়ন অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম, জেলা সমাজ সেবা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক রুপনা চাকমা, লিডারশিপ টু এনসিউর এডইকুয়েট নিউট্রিশন প্রকল্পের জেলা ট্রেইনিং কর্মকর্তা ডায়না, কর্মকর্তা রাজীব দাস গুপ্ত ও জেলা টেকনিক্যাল কর্মকর্তা মো. আজিজুল্লা উপস্থিত ছিলেন।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বিশেষ করে প্রত্যন্ত এলাকায় মা ও শিশুদের পুষ্টির ঘাটতি রয়েছে। এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি এনজিওগুলোর ভূমিকা অপরিহার্য। অপুষ্টির কারণে রাঙামাটি জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় প্রতি বছর বিভিন্ন ধরনের রোগের (বাঘাইছড়ি উপজেলায় সাজেক ইউনিয়নে হাম, কাউখালী উপজেলায় অপরিচিত রোগ) উপসর্গ দেখা দেয়।
তিনি বলেন, মেডিকেল টিম এ রোগগুলো চিহ্নিত করার পর জানতে পারে যে, অসচেতনতা এবং পুষ্টির অভাবে এ সমস্ত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তাই এনজিওগুলোকে শহরকেন্দ্রিক প্রকল্প হাতে না নিয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য প্রত্যন্ত এলাকায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ