পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সাহেবীজোত এলাকায় নির্মাণের এক বছর না পেরোতেই ভেঙে পড়েছে একটি ড্রেন। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী এবং দরপত্র অনুযায়ী নির্মাণ না করায় এমন অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর । ড্রেনটি ভেঙে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন গ্রামের মানুষজন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে এডিবির অর্থায়নে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সাহেবজোত এলাকায় রহমুতুল্লাহর বাড়ি থেকে বাঁধ পর্যন্ত ৫১ মিটার ড্রেন নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর।
৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা চুক্তিমূল্যে টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি করে ঠাকুরগাঁয়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নইমউদ্দিন অ্যান্ড সন্স। কাগজে কলমে ২০১৯ সালের ২১ মার্চ কাজটি শুরু করে এপ্রিলের ২০ তারিখে কাজটি শেষ করে তারা।
অভিযোগ উঠেছে, ড্রেনটি নির্মাণের সময় ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী। উপরে ১৬টি বড় মাপের স্লাব দেওয়ার কথা থাকলেও একটিও দেওয়া হয়নি। এছাড়া ড্রেনটি ছয় ফিট প্রস্থ হিসেবে নির্মাণ করার কথা থাকলেও ৪ ফিটে শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে নির্মাণের এক বছর না পেরোতেই গত মাসে ভেঙে পড়েছে ড্রেনটি।
সাহেবীজোত গ্রামের শহীদুল ইসলাম জানান, নির্মাণের সময় আমরা বার বার ঠিকাদারকে বলেছি। কিন্তু তারা নিম্নমানের কাজ করেছে। এ জন্য ড্রেনটি ভেঙে পড়েছে। ড্রেন থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।
জিমি আক্তার নামে আরেকজন জানান, ড্রেনটি ভেঙে পড়ায় একটু বৃষ্টি হলেই রান্না ঘরে পানি ঢুকছে। আঙিনায় এক হাঁটু পানি জমে থাকে। রাস্তা-ঘাটে চলাচল করা যাচ্ছে না। সঠিকভাবে কাজ না হওয়ার ফলে ড্রেনটি ভেঙে গেছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স নইমউদ্দিন অ্যান্ড সন্স কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা কথা বলতে রাজি হননি।
তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে তেঁতুলিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন, এক বছরের মাথায় ড্রেন ভেঙে পড়ার বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে নতুন ড্রেন নির্মাণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই