২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৫:৫৮

বর্ষা মৌসুমে তরমুজ চাষে লাভবান জাহাঙ্গীর

গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

বর্ষা মৌসুমে তরমুজ চাষে লাভবান জাহাঙ্গীর

পটুয়াখালীর গলাচিপায় বর্ষা মৌসুমে তরমুজ বিক্রি করে অধিক লাভ করেছেন চাষি জাহাঙ্গীর ফরাজী। এতে তার মুখে ফুটেছে আনন্দের হাসি। 

উপজেলার গ্রামর্দ্দন গ্রামে নিজের ২০ শতক জমিতে মাত্র ২০ হাজার টাকা খরচ করে তরমুজ চাষ করেন তিনি। গাছে সময়মতো কীটনাশক ওষুধ প্রয়োগ করে ও সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে বাম্পার ফলনের তরমুজ বাজারে বিক্রি করে অধিক লাভ করতে সক্ষম হন জাহাঙ্গীর। এতে তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। 

তার সফলতা দেখে প্রত্যেক দিন দূর-দূরান্ত থেকে অনেক চাষি আগ্রহী হয়ে জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে তরমুজ চাষের দীক্ষা নিচ্ছেন। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, জাহাঙ্গীর ফরাজী মাটির বেড তৈরি করে তরমুজের বীজ রোপণ করেছেন। বেডের উপরে জাল দিয়ে মাঁচা তৈরি করেছেন, যাতে মাঁচার উপরে তরমুজ গাছের লতা বাড়তে পারে। মাঁচার সাহায্যে বেড়ে ওঠা শূন্যে ঝুলে থাকা তরমুজ নেটের ব্যাগ দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। প্রতিটি তরমুজের ওজন হবে ৭-৮ কেজি।

প্রতিদিন জাহাঙ্গীর ফরাজীর তরমুজ ক্ষেতে  বিভিন্ন এলাকা থেকে নানা বয়সের মানুষ এসে ভিড় করেন। এতে অনেকে তরমুজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন। জাহাঙ্গীরের মতো অন্য চাষিও তরমুজ চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

জাহাঙ্গীর ফরাজী জানান, ঢাকার কাওরান বাজার মোকামে ৬০ টাকা কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করে ৪ লাখ টাকার উপরে তার লাভ হয়েছে। ক্ষেতে আরও কিছু তরমুজ অবশিষ্ট রয়েছে। 

তিনি জানান, মাছের ব্যবসার উদ্দেশ্যে খুলনায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে মাছের ঘেরে মাঁচার সাহায্যে তরমুজ চাষ করতে দেখে আগ্রহী হন জাহাঙ্গীর। পরে বর্ষা মৌসুমে নিজের গ্রামে এসে তিনি মাঁচার সাহায্যে তরমুজ চাষ শুরু করেন। এতে তার স্ত্রী তাকে সহযোগিতা করেন। কঠোর পরিশ্রম ও মনোবলের কারণে তার সাফল্যে এলাকায় ব্যাপক আলোড়নের সৃষ্টি হয়েছে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ জানান, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে জাহাঙ্গীরসহ অন্য চাষিদেরও প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হবে। চাষিদের উদ্বুদ্ধ করার জন্য তরমুজ চাষের পাশাপাশি অন্যান্য কৃষি খামারের প্রদর্শনী করা হবে।  

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর