কুড়িগ্রামে নদনদীর পানি কমলেও ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে পানি বেড়ে আবারও বিপৎসীমার ৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে ৫ম দফা বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে বন্যায় কবলিত নিম্নাঞ্চল ও চরের মানুষজনের এখনও দুর্ভোগে রয়েছে।
এদিকে,ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে যাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের বেশ কিছু নদী পাড়ের ও চরের বাড়িঘর নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। ধরলা ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকায় চর ও দ্বীপচরের বানভাসী মানুষগুলোর এখনও দুর্ভোগ রয়েছে। গবাদি পশু নিয়ে চরের মানুষজন পড়েছে চরম বিপাকে। গোখাদ্য সংকট মারাত্বক আকার ধারন করেছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলার ধরলা, তিস্তা, দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্রের ৬৩টি পয়েন্টে প্রচন্ড নদী ভাঙন চলছে। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে এবং তিস্তা নদীর ভাঙন প্রবল আকার ধারণ করেছে উলিপুরের থেতরাই এলাকার কাশেমবাজার ও সদর উপজেলার ভোগডাঙায়। এসব এলাকায় প্রতিদিন নদী ভাঙনে বাড়িঘর, মসজিদ, মন্দিরসহ ফসলী জমি নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে। এতে নদীভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে নদী তীরবর্তী শতশত মানুষ।
অন্যদিকে, রাজারহাটে ঘড়িয়ালডাঙা ইউনিয়নে বুড়িরহাট এলাকায় বেশ কিছু বাড়িঘর ও স্থাপনা নদীগর্ভে ভেঙে গেছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলো প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হচ্ছেনা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো:আরিফুল ইসলাম জানান, নদনদীর পানি বাড়লেও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। নদী ভাঙন প্রতিরোধে জেলার ৬৩টি পয়েন্টেই বালুর বস্তা ফেলে অস্থায়ী প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ