বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কেন্দ্রে গর্ভকালীন সেবা কার্ড নিতে চিকিৎসককে নগদ টাকা দিতে হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জিউধরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের পরিদর্শক শাহনাজ বেগমের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছেন সেবা গ্রহণকারি ৮ জন নারী।
এরা হচ্ছেন ডুমুরিয়া গ্রামের সুমি আক্তার(২২), ডেউয়াতলা গ্রামের লিমা আক্তার (৩৩), নূরজাহান (৩০), ঝর্না বেগম (৩৮), সুপর্না (৩০), রিপা মৃধা (৩২), প্রিয়াংকা শীল (৩৪) ও শনিরজোড় গ্রামের সেলিনা বেগম (৩২)। এই মায়েরা সেবা গ্রহণের পরে সেবাকার্ড পেতে প্রত্যেকে পরিদর্শক শাহনাজ বেগমকে ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন। গত ২৫ অক্টোবর এই টাকা লেনদেনের ঘটনা ঘটে।
পরে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার উদ্দেশে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের কাছে জমা করা হলেও সুবিধাভোগীরা এখন পর্যন্ত টাকা ফেরত পাননি। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে শাহনাজ বেগম বলেন, কয়েকজন সেবা গ্রহীতার সাথে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তার সমাধানও হয়ে গেছে।
এ সম্পর্কে ওই কেন্দ্রের প্রধান উপসহকারি মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইকবাল হোসেন বলেন, কয়েকজন সুবিধাভোগীর নিকট থেকে টাকার গ্রহণ ও তা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে শুনেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. দিলদার হোসেন বলেন, গর্ভবতী মায়েদের সেবাকার্ডের বিনিময়ে টাকা নেওয়ার কথা শুনেছি। তবে কেউ এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা