বরিশালের গৌরনদী উপজেলার টরকী বন্দর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৫) ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গৌরনদী পৌরসভার বড় কসবা এলাকার নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৩ জনের নামোল্লেখ সহ ৬ জনকে আসামি করে গত সোমবার রাতে গৌরনদী থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার আসামীরা হলো- কালকিনি উপজেলার চড়াইরকান্দি গ্রামের অনিল কির্তনীয়ার ছেলে সমীর কির্তনীয়া (২৮), একই উপজেলার বাঁশগাড়ি গ্রামের দিপক মন্ডল (৩২) এবং গৌরনদী পৌরসভার বড় কসবা এলাকার বাদল পালের ছেলে বিনয় পাল (২২)।
মামলা দায়েরের পর ওই রাতেই পুলিশ টরকী বাসস্ট্যান্ড থেকে অপহৃতা ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গৌরনদী থানার এসআই মো. কামাল হোসেন জানান, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে নবম শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে (১৫) প্রায়ই উত্যক্ত করতো বখাটে সমীর কির্তনীয়া। গত ৩০ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই ছাত্রী নিজ বাড়ি থেকে তার বাবার কর্মস্থল টরকী বন্দরের আলাউদ্দিন ব্রাদার্সের দোকানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। পথিমধ্যে সমীর কির্তনীয়া ও তার সহযোগীরা ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন স্থানে অপহৃতা স্কুলছাত্রীকে ৩ দিন আটকে রেখে কয়েকবার ধর্ষণ করে সমীর।
এ ব্যাপারে নির্যাতিতার বাবা বাদী হয়ে ৩ জনের নামোল্লেখসহ ৬ জনকে আসামী করে সোমবার দিবাগত রাতে থানায় একটি অপহরণ ও ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। রাতেই অপহৃতাকে উদ্ধার করে পুলিশ। ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য ভিকটিমকে মঙ্গলবার সকালে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহনের জন্য আদালতে প্রেরন করে পুলিশ।
মামলার আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামাল হোসেন।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার