নাটোরের সিংড়ায় একটি কবুতর খামারে অভিযান চালিয়ে আটটি দেশীয় টিয়া পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে প্রশাসন। বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল ৮টায় পৌর শহরের মাদারিপুর মহল্লায় হুজাইফা নামের এক ব্যক্তির কবুতর খামারে রাজশাহী বন বিভাগের সহায়তায় এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে পাখিগুলো খাঁচাবন্দি অবস্থায় পাওয়া যায়। তবে পাখি ব্যবসায়ী পালিয়ে গেলেও, ভবিষ্যতে দেশীয় পাখি কেনাবেচা না করার মুচলেকা নেওয়া হয় তার বাবা আব্দুল খালেকের কাছ থেকে।
উদ্ধারকৃত টিয়াগুলো সিংড়া উপজেলার সংরক্ষিত এলাকায় অবমুক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাজহারুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির, সিংড়া থানার উপ-পরিদর্শক বখতিয়ার, চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক হারুন অর রশিদ, যুগ্ম সম্পাদক হাসিবুল হাসান ও বন্যপ্রাণি বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আলীম খাজা।
চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জানান, এক যুগেরও বেশি সময় ধরে তারা চলনবিল অঞ্চলের পাখি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন, মাদারিপুর মহল্লার এক কবুতর খামারে গোপনে দেশীয় টিয়া পাখি কেনাবেচা চলছে। এরপরই বন বিভাগের সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আটটি টিয়া পাখি উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, এর আগেও এই খামারে অভিযান চালিয়ে ময়না ও টিয়া পাখি উদ্ধার করা হয়েছিল।
বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘চলনবিল অঞ্চলের পাখি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমরা সবসময় সচেষ্ট। এমন যেকোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ইউএনও মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য—পাখিদের গোপনে কেনাবেচা করছে। এদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। চলনবিল জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটি এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। যারা এই কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বিডি প্রতিদিন/জামশেদ