গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ বুধবার রাত ৮টা থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, আজ বুধবার রাত ৮টা থেকে পরবর্তী দিন (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া অস্থিরতা ও সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কারফিউ চলাকালে জনসাধারণের চলাচল সীমিত থাকবে এবং বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে পারবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে থাকবে এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।
এর আগে, গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে আওয়ামী লীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হামলা ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
এনসিপির সমাবেশে বাধা দেওয়া মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন বলে জানায় সরকার। হামলাকারীদের শাস্তি সরকার নিশ্চিত করবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
বিবৃতিতে সরকার বলছে, গোপালগঞ্জে আজ সহিংসতা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য। বিপ্লবী আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে তরুণ নাগরিকদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে বাধা দেওয়া তাদের মৌলিক অধিকারের লজ্জাজনক লঙ্ঘন। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য, পুলিশ এবং গণমাধ্যমের ওপর নৃশংস হামলা চালানো হয়েছে, তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং ব্যক্তিদের ওপর সহিংসভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগ অ্যাক্টিভিস্টদের এই জঘন্য কর্মকাণ্ড বিনা বিচারে ছেড়ে দেওয়া হবে না। দায়ীদের দ্রুত চিহ্নিত করা হবে এবং বিচার নিশ্চিত করা হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ওপর এ রকম সহিংসতা করার জায়গা নেই।
বিডি প্রতিদিন/কেএ