আবাসিক এলাকার প্লট বাণিজ্যিক প্লট হিসেবে ব্যবহার এবং অনিয়মের মাধ্যমে প্রায় ৭১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফতসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন জানান, প্রথম মামলায় মোট ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। যেখানে নাফিজ সরাফাত ছাড়াও আসামি হয়েছেন তাঁর স্ত্রী আঞ্জুমান আরা সাহিদ, ছেলে রাহীব সাফওয়ান সরাফত চৌধুরী।
এ ছাড়া পদ্মা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারেক রিয়াজ খান, ডাইনেস্টি হোমস লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান এস কে মেহেদী হাসান, ডালিয়া চৌধুরী, ফারহানা মোনেম, সাবেক এমডি রিমন কর্মকার, সাজিদ হক ও আমনি নাওয়ার চৌধুরীকে আসামি করা হয়েছে।
আক্তার হোসেন বলেন, দ্বিতীয় মামলায় নাফিজ সরাফাত তাঁর স্ত্রী আঞ্জুমান আরা সাহিদ, ছেলে রাহীব সাফওয়ান সরাফত চৌধুরীর সঙ্গে আসামি হয়েছেন সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। তাঁরা অসদুদ্দেশ্যে একে অন্যের সহায়তায় ও যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা পরিপালন না করে ডাইনেস্টি হোমস লিমিটেডের সঙ্গে পদ্মা ব্যাংকের ভবন ভাড়া চুক্তি করে পদ্মা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় এবং গুলশান-২ শাখা আবাসিক এলাকার সিইএন (ডি) ব্লকের ১০২ ও ১০৩ নম্বর রাস্তার ২২/এ নম্বর প্লটে ২০ তলাবিশিষ্ট ভবনে ফাইন্যান্স করেন। দ্বিতীয় মামলায় একে অন্যের সহায়তায় ও যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে রাজউকের বিদ্যমান বিধিবিধানের লঙ্ঘন করে আবাসিক প্লট বাণিজ্যিক প্লটে রূপান্তর করার অভিযোগ আনা হয়েছে। তৎকালীন মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন তাঁর নিজ পদের ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক বিশেষ নির্দেশনা (অনুশাসন) দিয়ে গুলশান আবাসিক এলাকার ১০২ ও ১০৩ নম্বর রাস্তায় সংযোগস্থলে অবস্থিত সিইএন (ডি) ব্লকের ২২/এ নম্বর সম্পূর্ণ আবাসিক শ্রেণিভুক্ত প্লটটি বাণিজ্যিক শ্রেণিতে রূপান্তরের সুযোগ করে দেন।
এর আগে গত বছরে নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। গত ১৩ এপ্রিল পদ্মা ব্যাংক থেকে ৫ কোটি টাকা আত্মসাতের চেষ্টা করার অভিযোগে নাফিজ সরাফতের বিরুদ্ধে মামলা করে সংস্থাটি।