প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, সাড়ে ৫ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত ‘বিয়ার সামিট অ্যান্ড ন্যাশনাল সেমিকন্ডাক্টর সিম্পোজিয়াম-২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বলেন, নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় আইন ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এ লক্ষ্যে সহায়ক নীতি প্রণয়ন ও বিদ্যমান আইন সংস্কার করা হবে বলেও জানান তিনি। এ ছাড়া সাশ্রয়ী মূল্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন ফয়েজ আহমদ। ২০২৩ সালে জুনে বিটক্রাক সাইবার সিকিউরিটি গবেষক ভিক্টর মার্কোপোলোস বাংলাদেশের সাড়ে পাঁচ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত অনলাইনে উন্মুক্ত দেখতে পান। বিটক্রাক সাইবার সিকিউরিটি দক্ষিণ আফ্রিকার একটি কম্পিউটার নিরাপত্তা সমাধান সংস্থা। মার্কিন অনলাইন পোর্টাল টেকক্রাঞ্চে বিষয়টি ভিক্টরের বরাতে সামনে আসে। সে সময় উল্লেখ করা হয় বাংলাদেশের পাঁচ কোটিরও বেশি নাগরিকের সংবেদনশীল ব্যক্তিগত তথ্য সরকারি ওয়েবসাইটে ঢুকলেই পাওয়া যাচ্ছে। অভিযোগ ওঠে গুগলে সার্চ করলেই যে কেউ ওয়েবসাইটিতে ঢুকে পাঁচ কোটি নাগরিকের নাম, জন্ম তারিখ ও এনআইডি নম্বর দেখতে পারছেন। সে সময় বাংলাদেশের একটি ইংরেজি দৈনিককে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভিক্টর। তিনি জানান, ‘.মড়া.নফ’ ডোমেইনে থাকা একটি বাংলাদেশি সরকারি ওয়েবসাইটে এসব তথ্য উন্মুক্ত অবস্থায় আছে। এই তথ্যগুলো সরকারি পরিষেবা পেতে নাগরিকরা আবেদন করার সময় দিয়েছিলেন। সেখানে লেনদেন আইডি এবং আবেদনকারীদের অর্থ প্রদানের মতো তথ্যও রয়েছে। সে সময় বিষয়টি জানার পর মার্কোপোলাস একাধিকবার বাংলাদেশি ই-গভর্নমেন্ট কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিমের (বিজিডি ই-গভ সিআইআরটি)-এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাননি। বিজিডি ই-গভ সিআইআরটি একটি সরকারি সংস্থা যা বাংলাদেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে।