ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় চেতনানাশক ওষুধ ছিটিয়ে দুই পরিবারের ১৫ জন সদস্যকে অজ্ঞান করে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
এ সময় ডাকাতরা ঘরে থাকা দুই পরিবারের ২২ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বোয়ালমারী পৌর সদরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কামারগ্রাম সাহা বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার সকালে তামিম শেখ (২২) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
ভুক্তভোগীরা প্রাথমিকভাবে বাড়ি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে কে বা কারা চেতনানাশক ওষুধ ছিটিয়েছে বা খাইয়েছে সে ব্যাপারে কিছু জানতে পারেনি ভুক্তভোগীরা।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বোয়ালমারী পৌর সদরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কামারগ্রামের সাধন কুমার সাহা ও রূপ কুমার সাহার পরিবারের সদস্যরা সোমবার সন্ধ্যা থেকে শারীরিক অসুস্থ ও বমি বমি ভাব অনুভব করছিল। এক পর্যায়ে ঘরের কলাপসিবল গেট লাগিয়ে সবাই যার যার রুমে অবস্থান করে। রাতের খাবার না খেয়ে কোনো এক সময় অজ্ঞান অবস্থায় পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়ে।
এরপর রাতের সুবিধাজনক সময়ে দুটি বাড়ির দরজা ভেঙে দুর্বৃত্তরা সাধন সাহার ঘর থেকে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ দেড় লাখের অধিক টাকা ও সাধন সাহার প্রতিবেশী রূপ কুমার সাহার বাড়ি থেকে দুই ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ ২৮ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী সাধন কুমার সাহা জানান, সোমবার রাত ৩টার দিকে হঠাৎ আমার ভাই সুমন্ত কুমার সাহার ঘুম ভাঙলে ঘরে আলমারিসহ সবকিছু এলোমেলো দেখে ডাক-চিৎকার শুরু করে। এ সময় বাড়ির মেইন কলাপসিবল গেটের তালা ভাঙা ও ঘরে থাকা আলমারিগুলো ভাঙা অবস্থায় দেখতে পায়।
সাধন কুমার সাহার প্রতিবেশী অপর ভুক্তভোগী রূপ কুমার সাহা বলেন, আমার ভাগনির জন্মদিন পালন শেষে কিভাবে সবাই ঘুমিয়ে পড়েছি বুঝতে পারিনি। সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখি ঘরের দরজা ভাঙা ও ঘরে থাকা স্বর্ণালংকারও নগদ টাকা নিয়ে গেছে ডাকাতরা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী বোয়ালমারী থানার ওসি (তদন্ত) আবুল খায়ের জানান, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মঙ্গলবার দুপুরে কামারগ্রামের আলিম শেখের ছেলে তামিমকে আটক করা হয়েছে। তবে অভিযান চলছে, তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই